শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পৃথক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, এ ঘটনায় দিরাই থানা পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। দিরাই থানা ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের রফিনগর গ্রামে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক ও আতাউর রহমানের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম্য আদিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে শুক্রবার রাত পৌণে ১২টায় বন্দুকসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ প্রায় ৩৫ জন আহত হয়। এরমধ্যে গুরুতর আহত ১২ জনসহ সবাইকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতরা হলেন রফিনগর গ্রামের চনু মিয়া ছেলে মুক্তার মিয়া (৩০), আলী আকবরের ছেলে আকাশ মিয়া (১৭) ও মাসুদুর রহমান (২৯), মৃত চানফর আলীর ছেলে আব্দুল হক (৫০), মৃত আব্দুছ ছাত্তারের স্ত্রী দিলমালা বেগম (৪৫), আল আমিনের স্ত্রী সাখাতুল বেগম (৩০), মিয়া বক্সের ছেলে রাজিব উদ্দিন (৩৫), আব্দুল মিরাজ মিয়ার ছেলে সাকিব মিয়া (১২), ফজর উদ্দিনের ছেলে তানভীর মিয়া (৯), মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে রঙ্গু মিয়া (৭৫), নূর তাজ মিয়া ছেলে এমদাদুল হক (২৫), ফয়জল মিয়া ছেলে টিটু মিয়া (২২), মৃত ঝানু মিয়ার ছেলে নাঈম আহমদ (১৫), বাজেস্টর মিয়ার ছেলে ছদরুল নূর মিয়া (২৫), মোঃ আবুল নছরের ছেলে আয়াত হোসেন (১৮), মোসাদ্দেক আলীর ছেলে আব্দুস সোবহান (৫০), হবিব মিয়ার ছেলে শিবলী মিয়া (৩০), আব্দুর রশিদের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫), নূর মোহাম্মদের ছেলে মোসকুর মিয়া (২২), ওসমান গণির ছেলে জোবায়ের মিয়া (৩২) ও জোবায়েল মিয়া (২৫), আব্দুল মালেকের ছেলে এরশাদ মিয়া (২০), হারিছ উদ্দিনের ছেলে হোজায়েল মিয়া (১৭), আবুল হোেেনর ছেলে বাবলু মিয়া (১২), আব্দুল ছালেকের ছেলে বাদল মিয়া (৩০), আব্দুল খালেকের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩২), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে হারিছ উদ্দিন (৪৫)। দিরাই থানা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ঘণ্টাব্যাপি এই সংঘর্ষে ৪০/৫০ রাউন্ড গুলি হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলো রফিনগর গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে আলী আকবর (৬১), আব্দুল মালেকের ছেলে এরশাদ আলী (২২) ও আনছার আলী (৩৬), মৃত হাফিজ তালুকদারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৬৪)।
এদিকে একই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের তলবাউসি গ্রামে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে মামলা চলে আসছে। এর জের ধরে শুক্রবার উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার বেলা ২টায় উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের তলবাউসি গ্রামের রইছ আলী ও আব্দুল করিমের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত সুরুজ আলীর ছেলে রহিম আলী (৬৫), মৃত মজিদ আলীর ছেলে রূপ মিয়া (৩২), রইছ আলীর ছেলে সিরাজ মিয়া (২২), গোলাপ মিয়ার স্ত্রী হাছেনা খাতুন (৩০), শাহিদ মিয়ার ছেলে সাদেকুর রহমান (২৮), উমেদ আলীর ছেলে আব্দুল হাই (৬০), জাহের মিয়ার ছেলে ঈমান হোসেন (২৫), তার ছেলে আশিদ মিয়া (২০), মনরছ উদ্দিনের ছেলে জোমান মিয়া (৩৫), আব্দুল হাশেমের ছেলে লাল মিয়া (৩০), আফতাব মিয়ার ছেলে আফরোজ্জামান মিয়া (২৮)। এদের সকলকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত সিরাজ আলী (২২), আব্দুল হাইকে (৬০) দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। উভয় সংঘর্ষের ঘটনাটি নিশ্চিত করে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, এখনও কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।