মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: দক্ষিণ সুনামগঞ্জের হাসাবাদ গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র মালয়েশিয়া প্রবাসী সোহেল মিয়া (২৬) গত কয়েকদিন আগে দেশে ফিরেন। শুক্রবার (১৪ অক্টোব) সোহেল মিয়া বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী পাথারিয়া ইউনিয়নের গাজিনগর গ্রামের শামসুল আলমের মেয়ে জহুরা আক্তারকে। জানা গেছে, পাথারিয়া গ্রামের মৃত আছকর আলীর পুত্র শাহীন মিয়া (৩৮) নামক ওই ঘাতক প্রকাশ্যে সোহেল মিয়াকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করে। রোববার রাত ১০টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা যান সোহেল মিয়া। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র সোহেল মিয়ার সঙ্গে গত শুক্রবার গাজীনগরের শামছুল আলমের কন্যা জহুরা বেগমের বিয়ে হয় পারিবারিক সম্মতিতে। রোববার স্বামী স্ত্রী দু’জনসহ আত্মীয়-স্বজনরা উপজেলার গাজীনগর গ্রামে কনের বাড়িতে ফিরাযাত্রায় যান। সন্ধ্যা ৬টায় ফিরে আসার আগে দাদী শাশুড়িকে সালাম করার সময় কনের আপন ফুফুতো ভাই ঘাতক শাহীন মিয়া ধারালো দা দিয়ে পিছন দিক থেকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সোহেল মিয়া। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। রাত ১০টার দিকে আহত সোহেল মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার থাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সোমবার সকালে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘাতক শাহীন মিয়াকে গ্রেফতার করেছেন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি আল আমিন বলেন, রোববার রাতে সোহেল মিয়া নামক এক যুবককে তার শ্বশুর বাড়িতে এক যুবক থাকে কুপিয়ে হত্যা করা খবর পেয়েছি। সোমবার সকালে ঘাতক শাহীন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ধারণা করা হচ্ছে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে শাহীন এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।