শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : আগামীতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কায় রয়েছে ভারত ও নেপালে। প্রতিদিন দেশ দুইটিতে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে। শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে এই সব তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন তথ্যে দেখা গেছে গত এপ্রিল মাসে নেপালে যে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, সেটির সব চাপ এখনো মুক্ত হয়নি। পশ্চিমাঞ্চলে যেকোনো সময় কম্পনটি জেগে উঠতে পারে। গবেষণাটি সম্প্রতি ‘ন্যাচার জিওসায়েন্স’ ও ‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলো এখন ব্যাপক নজরদারি করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন লেখক।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেন-ফিলিপ অ্যাভাউক বলেছেন, এই অঞ্চলে নজর রাখা দরকার। যদি আজই ভূমিকম্প হয়, তাহলে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে। জনবসতির ঘনত্বের কারণে এটি শুধু নেপালের পশ্চিমাঞ্চল নয়, ভারতের উত্তরাঞ্চলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। চলতি বছরের এপ্রিলে নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় নয় হাজার মানুষ নিহত ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হন। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন অসংখ্য মানুষ। ভূগর্ভস্থ সংঘর্ষ এলাকায় এই ভূমিকম্পটি হয়। ভারতীয় টেকটোনিক প্লেট ইউরেশিয়া প্লেটে চাপ দিচ্ছে। প্রতি বছর দুই সেন্টিমিটার পরিমাণে সেখানকার অবস্থান পাল্টে যাচ্ছে।
কয়েক দশক ধরে এটি চ্যুতি লাইনের চাপের সৃষ্টি করে। এই চ্যুতিটি মেইন হিমালয়ান থ্রাস্ট বলে পরিচিত। এটি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কাছে অবস্থিত। এই এলাকায় দুই প্লেটের সীমানা সংঘর্ষের কারণে আটকে আছে। আর এটি সেখানে গতিহীন শক্তি উৎপন্ন করছে। ফলে একটি বড় ধরণের ভূমিকম্প হতে পারে। গত ২৫ এপ্রিল নেপালে যে ভূমিকম্প হয়েছে তা এই দমিত চাপের একটি অংশ মুক্ত হওয়ার ফল। প্রফেসর অ্যাভাউক বলেছেন, হিমলায়ের সামনে বদ্ধ জোনে যদি ভূমিকম্পটি হয় তবে সেটি বড় আকারের হবে।
এছাড়া বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই চাপের কিছু অংশ পশ্চিমের দিকে যেতে পারে। নেপালের পোখরাও পশ্চিমে ও ভারতের দিল্লির উত্তরে এই চাপ দিচ্ছে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, সর্বশেষ ১৫০৫ সালে বড় ধরণের ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। পাঁচ শতাব্দী ধরে সেখানে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে তা বের হতে গেলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে।