সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স: *আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর তাৎক্ষণিক একটি মেমোরেন্ডাম (স্মারক) তৈরি করবেন। ওই কর্মকর্তা অবশ্যই গ্রেপ্তার ব্যক্তির স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন, যেখানে তারিখ ও গ্রেপ্তারের সময় উল্লেখ থাকবে।
*আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করলে ওই ব্যক্তির নিকটাত্মীয়কে বিষয়টি অবহিত করতে হবে। নিকটাত্মীয়র অনুপস্থিতিতে গ্রেপ্তার ব্যক্তির পরামর্শ অনুযায়ী তাঁর কোনো বন্ধুকে জানাতে হবে। যথাসম্ভব দ্রুত সময়ে বিষয়টি জানাতে হবে। এ কাজে ১২ ঘণ্টার বেশি দেরি করা যাবে না। গ্রেপ্তারের সময়, স্থান এবং কোথায় আটক রাখা হয়েছে, তা-ও জানাতে হবে।
*কোন যুক্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কার তথ্যে বা অভিযোগে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁর ঠিকানাসহ কেস ডায়েরিতে লিখতে হবে। আটককৃত ব্যক্তির নিকটাত্মীয় বা বন্ধুর কাছে অভিযোগকারীর নাম ও অন্যান্য তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
*১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ ধারায় উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোনো ব্যক্তিকে ৫৪ ধারায় আটক করা যাবেনা।
*আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য কাউকে গ্রেপ্তার করার সময় নিজের পরিচয় প্রকাশ করবেন। যদি দাবি করা হয়, তবে যাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং যাঁরা উপস্থিত আছেন, তাঁদের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
*গ্রেপ্তার ব্যক্তির শরীরে যদি কোনো রকম ইনজুরির চিহ্ন পাওয়া যায়, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ইনজুরির কারণ ও বর্ণনা লিপিবদ্ধ করবেন। ওই ব্যক্তিকে কাছের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাবেন এবং উপস্থিত চিকিৎসকের সনদ সংগ্রহ করবেন।
*যদি কোনো ব্যক্তিকে তাঁর বাসা বা ব্যবসায়িক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে ওই ব্যক্তিকে থানায় আনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর স্বজনকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানাতে হবে।
*গ্রেপ্তার ব্যক্তি চাইলে কাছের স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ বা আইনজীবীর কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ চাইলে তা দিতে হবে।
*ফৌজদারি কার্যবিধির ৬১ ধারা অনুযায়ী যখন কোনো ব্যক্তিকে নিকটস্থ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা তাঁর প্রতিবেদনে কেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হয়নি, তা ১৬৭(১) ধারায় বর্ণনা করবেন। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন সুনির্দিষ্ট বলে মনে করছেন, তা-ও উল্লেখ করতে হবে। কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট কেস ডায়েরিও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করবেন। হাকিম, বিচারক ও ট্রাইব্যুনালের প্রতি গাইডলাইন অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে বিচারিক আদালতের জন্য নয় দফার গাইডলাইন দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এরমধ্যে রয়েছে:
*যদি কোনো ব্যক্তিকে কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যবিধির ১৬৭(২) ধারা অনুসারে কেস ডায়েরি ছাড়া উপস্থাপন করেন, তবে ম্যাজিস্ট্রেট, আদালত বা ট্রাইব্যুনাল ওই ব্যক্তিকে ধারা ১৬৭ অনুযায়ী মুক্তি দেবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর কাছ থেকে একটি বন্ড নিতে হবে।
*আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক কোনো ব্যক্তিকে অন্য কোনো সুনির্দিষ্ট মামলায় যদি গ্রেপ্তার দেখাতে চায়, সে ক্ষেত্রে যদি ডায়েরির অনুলিপিসহ তাঁকে আদালতে হাজির না করা হয়, আদালত তা মঞ্জুর করবেন না। গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের ভিত্তি না থাকলে বিচারক আবেদন খারিজ করে দেবেন।
*ওই শর্ত পূরণ সাপেক্ষে যদি কোনো ব্যক্তিকে আটকের ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করা না যায়, যা ১৬৭(২) ধারায় রয়েছে এবং ওই মামলা যদি দায়রা আদালত বা ট্রাইব্যুনালে বিচারযোগ্য হয়, তবে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৩৪৪ ধারা অনুযায়ী রিমান্ডে পাঠাতে পারবেন; যা একবারে ১৫ দিনের বেশি হবেনা।