শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার নৃশংস হামলার শিকার কলেজ শিক্ষার্থী খাদিজাকে আজ সোমবার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল থেকে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুর্নবাসন কেন্দ্র সিআরপিতে নেওয়া হয়েছে। এদিন দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে, সুস্থ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিআরপিতে নেয়া হয়। তার সঙ্গে তার বাবা মো. মাসুক মিয়াসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য রয়েছেন।
সাভার সিআরপির ১০৫ নম্বর কেবিনে ভর্তি আছেন তিনি। এখানে আসার পর পরই আধা ঘণ্টার মধ্যেই একটি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে তার প্রাথমিক পরীক্ষা শেষ করা হয়। সিআরপি’র নিউরোসার্জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সাঈদ উদ্দিন হেলাল খাদিজার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, খাদিজা এখন অনেকটাই সুস্থ হলেও বাম হাত স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। তিনি বলেন, খাদিজা এখন একটু একটু করে কথা বলতে পারেন। নিজের কাজগুলোও কিছুটা নিজে নিজে করতে পারেন। এখনও তার বাম হাত-পা কিছুটা অবশ আছে। আমরা এখানে ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি এবং মেডিকেল টিম এক সঙ্গে কাজ করবো।
সাঈদ উদ্দিন হেলাল বলেন, অতিরিক্ত কথা বলা ও চিন্তা করা নার্গিসের জন্যে ক্ষতিকর হতে পারে। তাকে সুস্থ হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে। যেহেতু এটা ব্রেনের ব্যাপার সেহেতু যথেষ্ট সময় দিতে হবে এখানে। আমরা দ্রুত নার্গিসের সুস্থতার বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। ডা. সাঈদ উদ্দিন হেলাল বলেন, নার্গিসের জন্যে আলাদা একটি কেবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সবার সঙ্গে মিলে মিশে থাকতে চাইলে ওয়ার্ডেরও ব্যবস্থা থাকবে। সিআরপির নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন নার্গিস। খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া জানান, খাদিজার অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তিনি সবার কাছে মেয়ের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় গত ৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা বেগম পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতা বদরুল আলমের হাতে হামলার শিকার হন। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে প্রথমে খাদিজাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর অচেতন অবস্থায়ই খাদিজাকে ওই দিন রাতে তার স্বজনেরা রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করেন।