বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার: সুনামগঞ্জে শুরু হওয়া ইজতেমায় শুক্রবার জুমআর নামাযে ৫ লক্ষাধিক মুসুল্লির সমাগম হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপি সুনামগঞ্জ জেলা ইজতেমা শনিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হচ্ছে। ইজতেমা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ যাবত কালের সবচেয়ে বড় জুমআর জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্র মতে, জুমআর নামাযে ইমামতি করেন হাফেজ জুবায়ের আহমদ, বাদ জুমআ বয়ার পেশ করেন আলজেরিয়ার শেখ আহমদ। এছাড়া বাদ আছর বয়ার পেশ করেন মাওলানা দিলওয়ার হোসাইন। বাদ মাগরিব হাফেজ জুবায়ের আহমদ বয়ান পেশ করেন। সূত্র আরো জানায়, আগামীকাল বেলা ১১টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে সুনামগঞ্জের তিন দিনব্যাপি ইজতেমা।
ইজতেমার বয়ানে বক্তারা বলেন, ইসলাম আল্লাহর মনোনীত দ্বীন, তাই আমাদেরকে তারই দেয়া পথে চলতে হবে এবং তার আদেশ নিষেধগুলো পালন করতে হবে। তারা বলেন, বিশ্বব্যাপি আজ তাবলীগ জামাতের কারণে যেমনি মুসলিমের উপকার হচ্ছে, ঠিক তেমনিভাবে অসংখ্য অমুসলিম দ্বীনে ইসলাম গ্রহণ করে হেদায়তের পথে এসেছে। আজকের তাবলীগ জামাত একটি সত্যিকারভাবেই ইসলামের একনিষ্ট সেবক উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, এই জামাতের সাথে সর্বস্তরের সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে অংশগ্রহণ করতে হবে।
ইজতেমায় আসা অপরাপর জামাত পরস্পরকে সাথি সম্মোধন করেন, সাথিদের সাথে এক জামাতে আদায় করেন দিনের পাঁচ ওয়াক্ত সালাত। সালাত আদায় শেষে আমল আখলাকের বয়ান শুনে যিগির আজগার করে মুসুল্লিরা পার করেন বাকি সময়। ইজতেমা ময়দানে বয়স্ক মুসুল্লিদের পাশাপাশি কম বয়সি ও মধ্য বয়সি জমাতিদের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মত। দৈনন্দিন কাজের বিরতি দিয়ে ঈমান ও আখলাক শুদ্ধিকরণে ছুটে এসেছেন তারা তিন দিনের ইজতেমা ময়দানে।
যানবাহনের ভোগান্তি ঃ ইজতেমার মাঠে জুমআর নামাযে অংশ নিতে আসার চেষ্টা করে অনেকেই অপ্রতুল যানবাহনের কারণে জুমআর নামাযে অংশ নিতে পারেন নি। অনেকেই বহু কষ্ট করে নামাযে অংশ গ্রহণ করেন। আবার অনেকেই আসতেই পারেন নি এবং নামাযে শরিক হতে পারেন নি বলে এ প্রতিবেদককে জানান।
নারীদের উপস্থিতি ঃ ইজতেমাস্থলে ইজতেমার বয়ান শুনতে অনেক নারীকে ইজতেমা মাঠের আশপাশে আসতে দেখা যায়। প্রচুর মানুষের ভিড়ে মহিলাদের উপস্থিতি নিয়ে অনেকেই নানা গুঞ্জনও করেছেন।