রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ১৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলমান দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় বৃহস্পতিবারের ৪র্থ শ্রেণির পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। হঠাৎ করে এভাবে পরীক্ষা স্থগিত করায় শিক্ষক/শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। আবার অনেক শিক্ষককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। ক্ষুব্ধ শিক্ষকদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা শিক্ষকদের একটি সিন্ডিকেটের কারণে প্রায়শই নানা ধরনের ভোগান্তির মাঝে পড়তে হয় তাদের। দিরাই উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৭ আগস্ট থেকে উপজেলার ১৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর পূর্বে অর্থাৎ ৫ ও ৬ আগস্ট স্ব স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণের কাছে সকল শ্রেণির প্রশ্নপত্র বুঝিয়ে দেয়া হয়। পৌর এলাকার শুকুরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর মালিকানাধিন ছাপাখানা “দিরাই অপসেট প্রিন্টার্স” থেকে এ বছরের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়েছে। বুধবার বিকালে শিক্ষা অফিস থেকে পরেরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যাচাইকালে দেখা যায়, চতুর্থ শ্রেণির সমাজ বিষয়ের সাথে পরের দিনের বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্র একত্রিত হয়ে আছে। সাথে সাথে অফিস থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে চতুর্থ শ্রেণির বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিত রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়। হঠাৎ করে এমন নির্দেশনা পেয়ে বিপাকে পড়েন শিক্ষকগণ। অনেক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাতে ফোন পেয়ে সকল শিক্ষার্থীকে জানানো সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীরা সকালে পরীক্ষা দিতে আসলে আমরা তাদেরকে জানাই তোমাদের সমাজ বিষয়ের পরীক্ষা পরে নেয়া হবে। এ ব্যাপারে আরেকজন শিক্ষিকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একটি সিন্ডিকেটে বন্দি হওয়া মাঝে মাঝে এ ধরণের বিপাকে পড়তে হয়। যে ছাপাখানা থেকে প্রশ্নপত্র ছাপা হয়, তার মালিক এই শিক্ষক সিন্ডিকিটের একজন প্রভাবশালী লোক, যার জন্য আমাদের ভোগান্তির সীমা নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসএম আব্দুল হালিম বলেন, ছাপাখানার ভূলের কারণে বৃহস্পতিবারের চতুর্থ শ্রেণির সমাজ বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আগামি ২৬ আগস্ট স্থগিতকৃত বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে। দিরাই অফসেট প্রিন্টার্সের স্বত্তাধিকারী ও প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ছাপানোর সময় প্লেইটের গণ্ডগোলের কারণে এমন সমস্যা হতে পারে।