মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
মাগফুরুল হক্ব, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধি: হঠাৎ বারী বর্ষনের ফলে অনেক আগেই তলিয়ে গেছে জগন্নাথ পুর সহ অনেক এলাকার ধান। এতে কৃষি পাড়ায় ছেয়ে আছে বিষন্নতার ছাপ।এবার নতুন করে জনসাধারণের উপর নেমে এসেছে আরেক দুর্যোগ। জগন্নাথপুর উপজেলার প্রতিটি ছোট-বড় নদী ও হাওরের পানিতে দুর্গন্ধ দেখা দিয়েছে। পানির এমন দুর্গন্ধ চার দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। পানির দুর্গন্ধের কারণে নাক চেপে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। দুর্গন্ধের কারণে পানিতে ডুব দিয়ে গোসল করা ও জেলেরা নদীর পানিতে নেমে মাছ আহরণ করতে পারছে না।এছাড়া পানির দুর্গন্ধে মাছে মরক দেখা দিয়েছে। রোববার ভোররাত থেকে নদী ও হাওরে ছোট-বড় সব জাতের মাছ মরে ভেসে উঠেছে। দিনব্যাপী পানিতে সাঁতার কেটে ও নৌকা দিয়ে পানিতে ভেসে যাওয়া বড়-বড় মরা মাছ ধরেছেন স্থানীয়রা। হঠাৎ করে মাছে এমন মরক দেখে হতবাক হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষক ও সচেতন মহলের লোকজন জানান, অকাল বন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলার সকল হাওরের কাচা থোড় ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়। বর্তমানে এসব কাচা ধান পঁচে গিয়ে পানিতে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে নানা ধরণের ক্ষতিকারক ভাইরাস। যে কারণে পানি দুষিত হয়ে মাছে মরক দেখা দিয়েছে। এছাড়া চার দিকে ছড়িয়ে পড়া পানির দুর্গন্ধ মানুষসহ সব ধরণের পশু-পাখির ক্ষতির কারণ হতে পারে। জগন্নাথপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওয়াহিদুল আবরার জানান, পানিতে ধান পঁচে এমোনিয়া গ্যাস সৃষ্টি হওয়ায় মাছগুলো মরে পানির উপরে ভেসে উঠেছে। ওই সব মাছ খেলে ক্ষতি হতে পারে এমন আশংকায় আক্রান্ত মাছগুলো না খাওয়ার জন্য আমরা সচেতনতামুলক মাইকিং করেছি। এছাড়া পানি দুষনমুক্ত করতে সরকারি ভাবে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে হাওরে চুন ও ঔষধ প্রয়োগ করছি।