বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ): জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নুরুল হুদা মুকুট বলেন, একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হলো তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিপ সদস্য ও সদস্যরা। কিন্তু গত টার্মে যিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছিল ঐ টাকাগুলো গেল কোথায়। তিনি উপস্থিত তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ঐ সময় কি তখনকার সময়ের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আপনাদের নিয়ে কোনদিন বসেছিলেন, কখনো বসেন নি? বর্তমানে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি হিসেবে জেলার ৮৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সদস্যাদের জন্য জেলা পরিষদের দরজা সবসময় খোলা থাকবে। তিনি তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্য ও সদস্যাদের মাসিক সম্মানি ভাতা আরো বাড়ানোর জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নে তাদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবী জানান। তিনি জেলার ৮৮টি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের জেলা শহরে জেলা পরিষদের ফান্ডে একটি বিল্ডিং নির্মাণ করে দেয়ার ও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার নব গঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান আলোচক পুলিশ সুপার মোঃ বরকতুল্লাহ খান বলেছেন, বর্তমান সরকার তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে এবং অনেকগুলো কাজও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্যরা যদি ইউনাইটেড হন তাহলে আপনারাই তো নেতা। কেননা তৃণমূলে ভোটে আপনারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। তখন সরকারের মাননীয় এমপি মহোদয় এবং মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গন তাদের নির্বাচনী এলাকাতে এসে প্রথমের আপনাদের অনুসরণ করেন। কাজেই আপনাদের মধ্যে কোন মতানৈক্য হলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন তিনি।
বুধবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে এ অভিষেক অনুষ্ঠান শুরু হয়। বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও কুরবান নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বরকতের সভাপতিত্বে ও ফোরামের সাধারন সম্পাদক ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জে পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমীনুর রশিদ আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রদান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নুরুল হুদা মুকুট। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ বরকতুল্লাহ খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফোরামের সহ-সভাপতি ও ফেনারবাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার, কমিটির প্রথম সদস্য ও সাচনাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল হক, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ মিয়া, জাউয়া বাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ মিয়া, লক্ষনশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল ওদুদ, পান্ডারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক মিয়া, জাহাঙ্গীর নগর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, সুরমা ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান, মোল্লাপাড়া ইউপি সদস্য বদিউর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার নব গঠিত কমিটির ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি ফেনারবাক ইউপি চেয়ারম্যান করুণ সিন্ধু তালুকদার, পান্ডারগাও ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ, সহ-সভাপতি (মহিলা) দরগাপাশা ইউপি মহিলা সদস্যা কবিতা রানী দাস, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ মিয়া, আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আবু ইমানী, কুলঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমীনুর রশিদ আমিন, যুগ্ম-সম্পাদক জামালগঞ্জ সদর চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার, শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতু, দোয়ারাবাজার সদর চেয়ারম্যান আলহাজ¦ এম এ বারি, যুগ্ম-সম্পাদিকা (মহিলা) পান্ডারগাঁও ইউপি তারণ্য রানী সূত্রধর, যুগ্ম-সম্পাদক ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইর ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাউয়াবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রনজিৎ চৌধুরী রাজন, দোয়ারাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মিয়া, চরমহল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত, ভীমখালি ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া, রফিনগর ইউপি চেয়ারম্যান রেজুয়ান মিয়া, সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ছত্তার, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ভীমখালি ইউপি সদস্যা রেহেনা খাতুন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিসয়ক সম্পাদক পলাম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ূম মাস্টার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাহাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র তালুকদার, তথ্য ও যোগযোগ বিষয়ক সম্পাদক ও দোয়ারাবাজার সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশীদ. দপ্তর সম্পাদক পূর্বপাগল ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর নগর ইউপি চেয়ারম্যান মুকলেছ আলী, ক্রীড়া সম্পাদক দক্ষিণ বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আশী, আইন বিষয়ক সম্পাদক বোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর ইসলাম জুয়েল, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোল্লাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক, আন্তর্জার্তিক বিষয়ক সম্পাদক মান্নারগাও ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা আজিজ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাঠইর ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি সামছুল ইসলাম। কার্যকরী সদস্যরা হলেন সাচনাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, তাহিরপুর সদর চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন, লক্ষনশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল ওদুদ, পাইকরহাটি ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস, মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক, লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল হক, মধ্যনগর ইউপি চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার, ভাতগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন, গৌরারং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফুল মিয়া, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান খছরুল আলম, সুরমা ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান, জাহাঙ্গীর নগর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম মানিক, কাঠইর ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়া ও কুরবান নগর ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ূম প্রমুখ।