সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা: বিশ্বম্ভরপুরে দিনদুপুরে অভিনব কৌশলে গরু ও ছাগল চিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার পথে জনতার দাওয়া খেয়ে সিএনজি ফেলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। জানা যায়, শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাদাঘাট (দঃ) ইউনিয়নের সিরাজপুর-মিয়ারচর রোডে বাগগাঁও ডালারপাড় সড়কের পাশে ঘাস খাওয়া অবস্থায় ছিনতাইকারীরা বাগগাঁও গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালামের ১টি ও সিরাজপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল মিয়ার ১টি ছাগল ও বাগগাঁও গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে আরব আলীর ১টি গরুর বাছুর সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে লোকচোখে ধরা পড়লে সুর চিৎকারে চিনতাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার পথে শক্তিয়ারখলা সিএনজি স্টেশনে গাড়িটি থামানোর জন্য স্থানীয় লোকজন আপ্রাণ চেষ্টা করলেও ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যায় এবং ১০০ মিটার ব্রীজের পার্শ্বে গরুর বাছুরটি গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়। এলাকার লোকজন ৭/৮টি মোটর সাইকেল নিয়ে তাদের পিছু ধাওয়া করলে বাঘমারা ললিয়াপুর রোডে সিএনজি পেলে রেখে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পড়ে স্থানীয় লোকজন সিএনজিটি উদ্ধার পূর্বক বাদাঘাট (দ) ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। উদ্ধারকর্মী মধুপুর গ্রামের জিয়াউল হক জানান, ছিনতাইকারীরা নাম্বার বিহীন নতুন একটি সিএনজি গাড়ি নিয়ে ড্রাইভারসহ মোট ৪ জন লোক গাড়িতে করে ছাগল ও বাছুর নিয়ে শক্তিয়ারখলা সিএনজি স্টেশনে আসলে লোকজনের সুর চিৎকারে আমরা কয়েকজনে গাড়িটি থামানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলে অস্ত্রের মুখে আমাদের ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা কয়েকটা মোটর সাইকেল নিয়ে তার পিছনে দাওয়া করলে বাঘমারা ললিয়াপুর রোডে গাড়ি পেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। আমরা কাউকে সনাক্ত করতে পারিনি। স্থানীয় প্রসাশনকে অবহিত করা হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি, তবে যেহেতু ৫ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাড়ি আটক আছে সেহেতু অপরাধীকে সনাক্ত করা আদৌ অসম্ভব হবে না বলে সচেতন মহলের দাবি। বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মোল্লা মনির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।