মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করেন প্রভাবশালী মৎস্যজীবি প্রভাকর রায়। জামালগঞ্জের হালির হাওরের বোরো ফসলরক্ষায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কালিবাড়ি ক্লোজার (ভাঙা) এর বাঁধ রক্ষায় বিশাল গর্ত ভরাট করতে পার্শ¦বর্তী জলমহালের ইজারাদার কর্তৃক বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
শুধু গর্ত ভরাট করতে বাধাই নয় হালির হাওরের পাউবোর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ সহকারি প্রকৌশলী নিহার রঞ্জন দাসকে সোমবার সন্ধ্যায় দুইটি মোবাইল ফোন থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে জামালগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেছেন নিহার রঞ্জন দাস। (জিডি নং-৩০৮, তারিখ-১২.০৩.২০১৮ ইং)।
জলমহালের ইজারাদার হরিপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি প্রভাকর রায়ের বিরুদ্ধে রাতেই থানায় জিডি করা হয়েছে। প্রভাকর রায় হরিপুর গ্রামের নিকুঞ্জ বিহারী রায়ের ছেলে।
থানায় জিডি করার সত্যতা স্বীকার করে জামালগঞ্জ থানার ওসি আবুল হাসেম বলেন,‘ পাউবোর উপ সহকারি প্রকৌশলী জলমহালের ইজারাদারের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেছেন। তবে আমরা ইজারাদারের সাথে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন ক্লোজারের কাছে গর্তে মাটি ভরাট করতে তিনি বাধা দিবেন না। তিনি কোন হুমকিও দেন নি।’
হালির হাওরের পাউবোর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ সহকারি প্রকৌশলী নিহার রঞ্জন দাস বলেন, ‘হাওরে আসলে দেখে নেয়া হবে বলে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় মোবাইল ফোনে আমাকে হুমকি দিয়েছেন প্রভাকর রায়। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগতি করেছি এবং জামালগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেছি।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জলমহালের ইজারাদার হরিপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি প্রভাকর রায়ের সাথে কথা বলতে চাইলে পাউবোর উপ সহকারি প্রকৌশলীকে হুমকি দেয়ার কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোনই বন্ধ পাওয়া যায়।
উলে¬খ্য, কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিং জেলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় হালির হাওরের বোরো ফসলরক্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ কালিবাড়ি ক্লোজার (ভাঙা) এর বাঁধ রক্ষায় হাওরের দিকের বিশাল গর্ত ভরাট করার। সভার সিদ্ধান্ত ছিল পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজার দিয়ে এই গর্তটি ভরার করার। জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গর্তটি ভরাট কাজ শুরু করছে জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ড্রেজার দিয়ে ওই গর্ত ভরাটের কাজ শুরু করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান।