সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত ভিজিএফের রিলিফের চাল বিক্রি ও বিতরণে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে, ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জ জেলার পূর্বপাগলা ইউনিয়নে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সফিউল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের দামোধরতোপি গ্রামের মৃত কেদার চন্দ্র দাশের পুত্র কেতকী রঞ্জন দাশ বাদী হয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্বপাগলা ইউনিয়নে ৯৮৮ জন উপকার ভোগীকে দেয়ার জন্য পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ১৫ আগস্ট সাড়ে ১৯ টন চাল বরাদ্ধ পান, এরমধ্যে ৫ টন চাল বিক্রি করেছেন বলে আমি জানতে পেরেছি। প্রত্যেক উপকার ভোগীকে ২০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে ১০-১২ কেজি করে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে চেয়ারম্যান ও উপকার ভোগীদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সফিউল্লাহ পরিষদে গিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসেন এবং ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের খুদিরাই গ্রামের আফিজ আলীর স্ত্রী আলেছা বেগম, তার ছেলে কমর উদ্দিন, সিরাজ উদ্দিনের ছেলে শাহীন, কলমদর আলীর ছেলে আলা উদ্দিন; ৬নং ওয়ার্ডের রনসী পূর্বহাটির গেদা মিয়া, সানুর আলী মুন্সি, আব্দুল কুদ্দুস; ৫নং ওয়ার্ডের কাড়ারাই গ্রামের আব্দুল হেকিমের স্ত্রী কাতাবুন, আহমদ আলীর স্ত্রী চান বিবি; আব্দুল মালিকের স্ত্রী জাহানারা, কলমদর আলীর স্ত্রী কহিন আরা, আলকাব আলীর স্ত্রী আফলাতুন, আব্দুল মানিকের স্ত্রী জাহানারা; ৮নং ওয়ার্ডের ডিগারকান্দি গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে আরজ আলী, হাসিম উল্লাহর ছেলে কদ্দুছ আলী, শরাফত আলীর ছেলে গয়াছ মিয়া, ওয়ারিছ আলীর স্ত্রী মনিমালা ও রুস্তুম আলীর স্ত্রী কাঞ্চন বিবি প্রমুখ, যারা ৮-১০ কেজি চাল পেয়েছেন। সূত্রটি আরো জানায়, অনেকেই এর চেয়েও কম চাল পেয়েছেন।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ওয়ার্ড মেম্বার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে আমাদের করণীয় কিছু নেই, আমরা চেয়ারম্যানের কাছে অনেকটা অসহায় অবস্থায় আছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পূর্বপাগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আক্তার হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সফিউল্লাহ এ প্রতিবেদককে জানান, চাল বিক্রির বিষয়টি সত্যতা পাওয়া না গেলেও ভিজিএফের চাল কম দেয়ার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।