রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
জাতীয় সংসদ ভবন চত্তর ও নাখালপাড়াস্থ এমপিদের (সংসদ সদস্য) বাসস্থান ন্যামফ্ল্যাট ভবন এলাকায় যেসব সরকারি গাছ আছে তার ফলফলাদি বিক্রি করে সরকারি আয় বাড়ছে। চলতি বছরসহ বিগত ৮ বছরে এসব ফল বিক্রি করে সরকারের ২১ লাখ ৯০ হাজার ৫০০ টাকা আয় হয়েছে।
মঙ্গলবার এসব তথ্য জানান সংসদের সহকারী সচিব (সদস্য ভবন) আবদুর রহমান। এদিকে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে সৌদি আরব থেকে আনা খেজুর গাছগুলোর একটিতে নতুন করে ফলেছে খেজুর। সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পশ্চিম পাসের সিঁড়ির পাশেই খেজুর গাছটিতে ফলে থাকা ১৩টি বড় বড় থোকার সেই খেজুর দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
সেই খেজুর গাছটির রক্ষণাবেক্ষণ করতে জাল দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশও।
জানা যায়, সংসদ ভবনের বিশাল এলাকায় আম, কাঁঠাল ও নারিকেল মিলিয়ে ফলফলাদির গাছ রয়েছে পাঁচশতাধিক। সাবেক স্পিকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০১১ সালে এসব ফলফলাদি নিলামের ব্যবস্থা করেন। এর আগে একজন আরেকজনের ফল পেরে নিয়ে যেত।
সেই বছর কাঁচাপাকা মিলিয়ে নিলামে দাম উঠে ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার ফল। প্রতি বছরের ডিসেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত যত আম, কাঁঠাল ও নারিকেল ধরবে সব পাবেন ক্রেতা। ফল নিলামে দেয়ার আগে কোন জায়গায় কয়টি ফলের গাছ আছে তার জরিপ করা হয়। সেই হিসাব অনুযায়ী সংসদ ভবন এলাকায় ১৩৪টি আম, ১১৯টি কাঁঠাল ও ২৪৯টি নারিকেল গাছ আছে। তবে নাখালপাড়াস্থ এমপিদের বাসস্থানের গাছগাছালির হিসাব এখনও করা হয়নি। আর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সংসদ সদস্য ভবনে তেমন কোনো গাছ নেই।
সূত্র জানায়, ২০১১ সালে ১ লাখ ৫৩ হাজার, ২০১২ সালে ২ লাখ ২৫ হাজার, ২০১৩ সালে ২ লাখ, ২০১৪ সালে আড়াই লাখ ৫০০, ২০১৫ সালে ২ লাখ ৯৫ হাজার, ২০১৬ সালে ৪ লাখ ৩০ হাজার, ২০১৭ সালে ৩ লাখ ১৭ হাজার আর চলতি বছরে নিলাম উঠেছে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। এসব টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।