বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ):
২০২২ সালের মধ্যে দেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় ব্যাপক হারে কুকুরের ঠিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম ২০১৮ এক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোগ নিয়ন্ত্রন শাখার অয়োজনে শহরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের (ইপিআই) হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ আশুতোষ দাসের সভাপতিত্বে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিসিটি মোঃ ফজলুল করিমের সঞ্চালনায় এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রদীপ কুমার সিংহ।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, সিনিয়র এএসপি মোঃ মিজানুর রহমান দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আলী বীরপ্রতীক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনসালটেন্ট (সিডিসি) ডাঃ রাশেদ আলী শাহ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আবুল কালাম, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোঃ ওমর ফারুক, দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল কাদির শিহাব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোলেমান তালুকদার প্রমুখ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রদীপ কুমার সিংহ বলেন, জলাতঙ্ক একটি ভয়ানক মরণব্যাধি এবং এ রোগে মৃত্যুর হার শতভাগ। পৃথিবীর কোথাও না কোথাও প্রতি দশ মিনিটে একজন এবং প্রতিবছরে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যান। জলাতঙ্ক রোগটি মূলত কুকুরের কামড় বা আচড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়া বিড়াল, শিয়াল, বেজী ও বানরের কামড় ও আচড়ের শিকার হয়ে থাকে যাদের মধ্যে বেশীর ভাগই শিশুরা। তারা বলেন, বাংলাদেশে ২০১০ সালের আড়ে প্রতিবছর ২ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে এমনকি গোবাধি পশুরা মারা যেত। কিন্তু সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টায় এই রোগগুলি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ২০১৬ সালের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শতকরা ৯০ ভাগ কমিয়ে আনা এবং ২০২২ সালের মধ্যে জলাতঙ্কমুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এই জলাতঙ্ক রোগ নিরাময়ে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই বলে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।