মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
দিরাইয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ নেতা হাফিজুর রহমান তালুকদারের সাথে উপজেলা যুবলীগ নেতা মোহন চৌধুরীর অশোভন আচরণের জের ধরে দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে হাফিজুর রহমান তালুকদারের সাথে অশোভন আচরণের খবর পেয়ে তাঁর আত্মীয়-স্বজন দিরাই থানা রোডে যুবলীগ নেতা মোহন চৌধুরীকে ধাওয়া করে। পরে মোহন চৌধুরীর আত্মীয়-স্বজন আসলে দুপক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করে,পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে মোহন চৌধুরী বলেন, তাড়ল ইউনিয়নে হাওর রক্ষা বাঁধের পিআইসি গঠনের ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমাকে হুমকি দেন, এর কিছুক্ষণ পর উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাইসহ অর্ধশতাধিক লোকজন আমার উপর হামলা চালায়, আমি কোন রকমে আত্মরক্ষা করি। আমি আইনের আশ্রয় নিবো।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, যুবলীগ নেতা মোহন চৌধুরী আমাকে ফোন করে তার লোকজনকে কেন হাওর রক্ষা বাঁধের পিআইপি কমিটি দেওয়া হল না তার কারণ জানতে চায়, আমি মোহন চৌধুরীকে বলি-উপজেলা পিআইসি কমিটির উপদেষ্টা, আমার একক সিদ্ধান্তে কমিটি গঠন হয়নি, কমিটি যাকে যোগ্য মনে করেছে তাকেই দেয়া হয়েছে। এ সময় মোহন চৌধুরী উত্তেজিত হয়ে আমার সাথে অশোভন আচরণ করে, খবর পেয়ে আমার আত্মীয়-স্বজন মোহনকে ধাওয়া করে। আমি তাদেরকে ঝামেলা না করতে নিষেধ করি, পরে মোহন চৌধুরীর বড় ভাইয়েরাসহ আত্মীয়-স্বজন আমার বাসায় এসে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার ওসি তদন্ত দেলোয়ার হোসেন বলেন, দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।