রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ:
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্বপাগলা ইউনিয়নের চিকারকান্দি গ্রামের মাসুক মিয়া (আমেরিকা) প্রবাসী ২শত বিঘা জমির মালিক হয়েও সরকারি জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, মাসুক মিয়া ও তার পরিবার প্রায় ৫৭ একর জমির মালিক। মাসুক মিয়া বিগত দিনেও ভুমিহীন ছিলেন না। কিন্তু মাসুক মিয়ার ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ভূমিহীন হিসেবে সরকারি জমি বন্দোবস্ত পান। যা দুর্নীতি ও জালিয়াতিরই নামান্তর। প্রভাব কাটিয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি সরকারি জমি বন্দোবস্ত পাওয়ায় গোটা পূর্বপাগলা ইউনিয়ন জুড়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষের এখন একটাই প্রশ্ন এত জমির মালিক হয়েও মাসুক মিয়া কিভাবে ভূমিহীন হিসেবে জমির বন্দোবস্ত পেলেন।
বন্দোবস্তের বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগে গত ১২ নভেম্বর ২০১৭ সালে পূর্বপাগলা ইউপির চিকারকান্দি গ্রামের সাদেক মিয়া, পিতা মৃত আইন উদ্দিন বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন। কিন্তু অভিযোগের বিভিন্ন সময়ে তদন্ত হলেও ক্ষমতায় দাপটে এর কোন সুষ্ঠু নিষ্পতি এখনও হয়নি। তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জোড় দাবী জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্বপাগলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক মিয়ার ভাই মাসুক মিয়া তার ভাইয়ের ক্ষমতায় প্রভাব কাটিয়ে ২শত বিঘা জমির মালিক থাকার পরেও সরকারি জমি বন্দোবস্ত পান। মাসুক মিয়া ও তার পরিবার কোন সময়ই ভূমিহীন ছিলেন না। কিন্তু জালিয়াতি ও দুর্নীতি করে ১ একর ৮০ শতক সরকারি জমি বন্দোবস্ত নিয়েছেন। এবং সে জমির কিছু অংশে ঘর তৈরি করে ও বাকি জমি পতিত রেখে রাজারহালে দিনাতিপাত করছেন। ভূমিহীন কৃষকরা যে জমি পাওয়ার কথা ভুয়া কৃষক সেজে ধনাঢ্য ব্যক্তি সে জমি পাওয়া সম্পূর্ন বে-আইনি ও প্রতারণা। তাই বাদী সাদেক মিয়াসহ এলাকাবাসী এই বন্দোবস্ত বাতিল পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সাদেক মিয়া বলেন, আমি দরখাস্ত দেয়ার পরও এসিল্যান্ড অফিস থেকে রিপোর্টগুলো সঠিক হচ্ছে না। ভুমিহীন না হয়েও কিভাবে সরকারি জমির বন্দোবস্ত পায়? আমি এই জালিয়াতির আইনগত সঠিক বিচার চাই।
জমি বন্দোবস্ত গ্রহণকারী মাসুক মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টাকালে তিনি বলেন যখন আমি জমি বন্দোবস্ত পাই, তখন আমার পিতা আলগ করে দিয়েছিলেন, তখন আমার জমি ছিলনা।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সফি উল্লাহ বলেন, এ জমির বিষয়ে স্বত্ব মামলা চলমান রয়েছে, জেলা প্রশাসক বরাবর মতামত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।