আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : হ্যা, সকল নিয়ম নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই কারাগারে গেলেন ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডেলটন। তবে যদি ভেবে থাকেন যে তিনি বন্দী হিসেবে কারাগারে গিয়েছেন তাহলে কিঞ্চিত ভুল ভাবছেন। ব্রিটিশ ঐতিহ্যের বাইরে এবারই প্রথম এক ব্রিটিশ রাজবধূ কোনো কারাগার ভ্রমনে গেলেন। তাও আবার যেনতেন কোনো কারাগার নয়, যুক্তরাষ্ট্রের নারী অপরাধীদের জন্য নির্দিষ্ট কারাগারে। যেখানকার অধিকাংশ অপরাধীই হলো মাদক এবং হত্যা সংক্রান্ত কোনো অপরাধের কারণে কারাভোগ করছেন।
প্রথমবারের মতো কারাগার পরিদর্শণে প্রায় দুই ঘণ্টা কাটিয়েছেন কেট মিডেলটন। এসময় তিনি ২৮২ জন কয়েদির জন্য নির্দিষ্ট ওই কারাগারের কয়েদিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্যস্ত ছিলেন। পাশাপাশি বন্দীদের অপরাধ জীবনের নানান দিক সম্পর্কে শোনেন রাজবধূ। তবে কারাগারে যে ব্রিটিশ পরিবারের কেউ আসছেন তা কেট মিডেলটন আসার আধা ঘণ্টা আগেও জানতেন না কয়েদিরা। তারা সকলেই কারাগারের সাজসাজ রব দেখে ভেবেছিলেন যে, তাদের পরিদর্শনে বুঝি তারকা রাসেল ব্যান্ড আসছেন। কিন্তু রাসেল ব্র্যান্ডের জায়গায় কেড মিডেলটনকে দেখে রীতিমতো বিস্মিত তারা।
অবশ্য, কেড মিডেলটনের এই কারাগার সফল নিয়ে অতটা সন্তুষ্ট নয় রাজপরিবারের বাকী সদস্যরা। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাজপরিবারের কোনো সদস্যই তাদের প্রথা ভেঙ্গে কারাগার পরিদর্শণে যাননি। তবে রাজবধূও যে নিজের ইচ্ছেতেই এসেছেন পুরো ব্যাপারটি তাও নয়। রিহ্যাবিলিটেশন অব অ্যাডিকটেড প্রিজনারস ট্রাস্ট(আরএপিটি) নামক একটি সংস্থার অনুরোধে কারাগারে এসেছিলেন তিনি। এই সংস্থাটি দেশটির মোট ২৬টি কারাগারের বন্দীদের নিয়ে কাজ করে।
পরিদর্শনের সময় ক্রিস্টি নামের এক সাবেক কয়েদি রাজবধূকে বলেন, ‘আট বছর ধরে আমি মাদক থেকে দূরে আছি। এই কারাগার থেকে আমি ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট বের হয়ে গেছি।’ এরকম আরও অনেকেই আছেন যারা জীবনের একটা সময় মাদকে আসক্ত হয়ে পরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে যান। এই সকল অপরাধীদের ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী অন্যান্য অপরাধীদের সঙ্গে রাখা যায় না।