মঙ্গলবার, ১৫ Jul ২০২৫, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
দিরাইয়ে পুকুরে কাইয়ুম ও হাওরে আসাদের লাশ উদ্ধার দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মাওলানা শুয়াইব আহমদের সাথে মতবিনিময় আবনায়ে ক্বাদিম সাকিতপুর মাদরাসার কমিটি গঠন জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল নব্য ফেরাউনের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ: ইউকে জমিয়ত সমাজ ও রাষ্ট্রের দুষ্টচক্রকে নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা জমিয়তের প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তের হেভিওয়েট প্রার্থী হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ দিরাই পৌরসভার বাজেট পেশ সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মাদকের চালান আটক দিরাইয়ের সেনা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৪, গুলিতে নিহত নিরীহ আবু সাইদ
সুনামগঞ্জে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সুনামগঞ্জে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

amarsurma.com

ভারতের মেঘালয়ের বিনিয়োগ প্রত্যাশা

হাবিব সরোয়ার আজাদ:
পারস্পরিক সুবিধার্থে ভারতীয় রাজ্য মেঘালয়ের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনার্ড সাংমা সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসলে এলে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘মেঘালয়ের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন, বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী সিলেট অঞ্চলে। যেহেতু সুনামগঞ্জে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’ বৈঠকেরপর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমে কর্মরতদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সুনামগঞ্জে প্রায় দুই হাজার একর জমির ওপর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেঘালয় থেকে নুড়ি (পাথর) আমদানি করতে বাংলাদেশ নৌপথকে ব্যবহার করতে পারে যেহেতু নদীপথ ব্যবহার ব্যয়সাশ্রয়ী হয়।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর নাব্যতাকে আরও বাড়াতে এবং নৌযান চলাচল সহজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর দুই দেশের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া সড়ক এবং রেলপথগুলোকে পুনরায় চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি যোগাযোগ শক্তিশালী হবে।
কনার্ড সাংমা বলেন, মেঘালয় বাংলাদেশের উন্নয়নের মহান অংশীদার হতে পারে, যেহেতু এই উত্তর ভারতীয় রাজ্যটির পর্যাপ্ত কাঁচামাল রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কয়লা-চুনাপাথর, নুড়ি পাথর, সিমেন্ট ক্লিংকার। তিনি বাংলাদেশ এবং মেঘালয়ের মধ্যে কৃষি, জ্বালানি এবং সংস্কৃতির বিষয়ে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ এবং এই উত্তর ভারতীয় রাজ্যটির মধ্যে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে চান। সাংমা বলেন, ‘সহযোগিতার জন্য আমাদের দরজা খোলা রয়েছে।’ তিনি বলেন, মেঘালয় তার পণ্য আনা-নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ব্যবহার করতে চায়। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সাংমা ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
দলের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন মেঘালয়ের বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রী স্নিয়াওভালং ধর, শিক্ষামন্ত্রী ল্যাকমেন রিমবুই এবং কৃষিমন্ত্রী বেনটিওডর লিংদো, বাংলাদেশের ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস এবং মেঘালয়ের বিদ্যুৎ এবং কৃষি বিভাগ বিষয়ক মুখ্য সচিব পি শাকিল আহমেদ।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com