শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
‘চিৎকার শুনে সামনে এগিয়ে যাই। গিয়ে যা দেখি তা বর্ণনা করার মতো নয়। অন্ধকারের মধ্যে দেখি ট্রেনের বগি উল্টে গেছে। আহত-নিহত মানুষ পড়ে আছেন চারদিকে। আমি অন্তত ২০ জনকে দেখেছি পড়ে থাকতে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না।’
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ বিকট শব্দ আর ঝাঁকুনিতে ঘুম ভাঙে মোকাম্মেল হক খানের। চট্টগ্রাম থেকে তূর্ণা নিশীথা ট্রেনে করে ঢাকা আসছিলেন তিনি। আকস্মিক শব্দে ঘুম ভাঙার পর লক্ষ্য করলেন ট্রেনটি থেমে গেছে। কী হয়েছে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। আশপাশের যাত্রীরাও তখন বেশিরভাগ ঘুমে ছিলেন। সবার জিজ্ঞাসু চোখ- কী ঘটেছে?’
‘ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ৩টার কিছু বেশি হয়েছে সময়। কোথায় আছি কিছুই ঠাহর করতে পারছিলাম না। চারদিকে অন্ধকার। তবে আমাদের বগির লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল’, বলছিলেন মোকাম্মেল খান।
মোকাম্মেল বলেন, অল্পক্ষণের মধ্যে অন্যান্য বগির লোকজন জড়ো হতে থাকেন। সবাই আতঙ্কগ্রস্ত। রেললাইনের আশপাশের বাড়িঘর থেকেও মানুষজন জড়ো হতে থাকেন। ‘আধা ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয়রা এবং সুস্থ যাত্রীরা মিলে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। এর পর পুলিশ ও রেলের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন।
‘কত লোক অসহায়ভাবে পড়ে ছিলেন। কারও হাত নেই। কারও পা নেই। কয়েকটি দেহ নিথর হয়ে পড়ে আছে দেখেছি। আহতদের আহাজারিতে আকাশ ভারী হয়ে উঠছিল’, বলেন মোকাম্মেল খান। তিনি জানান, কর্তৃপক্ষের উদ্ধার অভিযান শুরুর পর তিনি বাসে করে নিরাপদে ঢাকায় ফিরেছেন।
সোমবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন তূর্ণা নিশীথা এবং সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক যাত্রী।