মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের লোকালয় হতে প্রায় বিপন্ন প্রজাতীর একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কামড়াবন্ধ গ্রামের থাকা এক অব.সেনা সদস্যের বাড়ি বেল গাছ হতে ওই বানরটিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর রাতে উদ্ধারকৃত বানরটি বনবিভাগের হেফাজতে নেয়া হয়।
জানা গেছে, উপজেলার কামড়াবন্ধ গ্রামে অব.সেনা সদস্য’র পতিত বাড়ির বেল গাছের ঢালে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে অদ্ভুদ আকৃতির বন্যপ্রাণী দেখতে পান গ্রামের লোকজন। পরবর্তীতে গ্রামের লোকজন গাছের ঢাল থেকে বন্যপ্রাণীকে নামিয়ে খাঁচায় বন্ধি করেন।
বিষয়টি তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর তিনি গ্রামবাসীকে বন্যপ্রাণীকে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তরের পরামর্শ দিয়ে উপজেলার ধলইরগাঁও বিট অফিসকে অবহিত করেন।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ধলইরগাঁও বিট অফিসের প্রতিনিধি ফাঁড়ি পুলিশের উপস্থিতিকে লজ্জাবতী বানরটিকে তাদের হেফাজতে নেন।
সুনামগঞ্জ বনবিভাগের তাহিরপুরের ধলইরগাঁও বিট অফিসার বিরেন্দ্র কিশোর রায় জানান, উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীটি বাংলাদেশে বনাঞ্চলে প্রায় বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী বলেন, সুনামগঞ্জ বনবিভাগ পরবর্তীতে বানরটিকে সিলৈটের টিলাগড় ইক্যু পার্কে অবমুক্ত করবেন।
সিলেট বনবিভাগের দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, লজ্জাবতী বানর গাছের উঁচু শাখায় থাকতে পছন্দ করে। বাংলাদেশে সিলেট ও পার্বত্য চট্রগ্রামের বনাঞ্চলে এ প্রজাতীর বানর দলের এক সময় অবাধ বিচরণ ছিল। এছাড়া এ প্রজাতীর বানর আর্দ্র পত্রঝরা বনে থাকার তথ্য রয়েছে।
বাংলা ভাষায় লজ্জাবতী বানর বা লাজুক বানর নামে পরিচিতি হলেও এ প্রজাতীর বানরকে ইংরেজিতে Bengal slow loris অথবা northern slow loris নামে পরিচিত। এ প্রজাতীর বানরের বৈজ্ঞানিক নাম Nycticebus bengalensis.।