বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
সউদী আরবকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তিতে রূপান্তরে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আরবের নারীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে একের পর এক কর্মক্ষেত্র। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সউদী সেনাবাহিনীতে নারীদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে এতে বলা হয়েছে, সৈনিক থেকে শুরু করে সার্জেন্ট পদে যোগ দিতে পারবেন নারীরা। এই সুযোগ থাকবে রাজকীয় নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী ও সশস্ত্র চিকিৎসা সেবা বিভাগের জন্য। আবেদনকারীকে নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করতে হবে, পরিচ্ছন্ন রেকর্ড এবং শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত যোগ্যতা থাকতে হবে। তাদের বয়স ২১ বছর থেকে ৪০ বছর মধ্যে হতে হবে। উচ্চতা কমপক্ষে ১৫৫ সেন্টিমিটার হতে হবে। সরকারি চাকরিজীবী হলে হবে না। কোনও বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করলেও আবেদন করা যাবে না। অন্তত হাইস্কুল পাস হতে হবে। আর পুরুষ আবেদনকারীদের বয়স হতে হবে ১৭ থেকে ৪০ বছর, উচ্চতা ১৬০ সেমি বা পাঁচ ফিট ৩ ইঞ্চি।
সউদী সেনাবাহিনীতে নারী নিয়োগ যথেষ্ট আলোড়ন তুলেছে। অপারেটিং সিস্টেম বিশেষজ্ঞ হালাহ আল-ইয়ানাবাওই বলেন, আরব দেশগুলোর সেনাবাহিনীতে নারী নিয়োগ নিয়ে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিতর্ক চলছে। এখন যুবরাজ সালমানের দূরদৃষ্টির কারণে নানাক্ষেত্রে নারীদের নিয়োগ বেড়েছে। সরকারি বিভিন্ন চাকরির পাশাপাশি তারা এখন সেনাবাহিনীতেও কাজের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। এর আগে শপিং মলের ক্যাশিয়ার, রেস্টুরেন্টের ওয়েটার, কফিশপের বারিস্তার মতো কাজে একচেটিয়া পুরুষদের নিয়োগ দেয়া হত। নতুন এই অর্থনৈতিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নারীদেরও এসব কাজে নিয়োগ দেয়া শুরু হয়।
সউদী আরবের এইসব পদক্ষেপের ফলে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে গত বছর দেশটিকে লিঙ্গ সমতায় জিসিসি (গালফ কো-অপরেশন কাউন্সিল) ব্লকে প্রথম এবং আরব অঞ্চলে দ্বিতীয় অবস্থানে রাথা হয়েছে। প্রতিবেদনে লিঙ্গ সমতায় সউদীর তীব্র অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ২০১৭ সালে দেশটি ১৯০টি দেশের মধ্যে শীর্ষ সংস্কারক এবং শীর্ষ উন্নতিকারক হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছিলো। সূত্র: পাকিস্তান ট্রিবিউন।