মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : ডিজিটাল সাংবাদিকতাকে আরো সমৃদ্ধ করতে দেড়শ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে গুগল। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১৩১৮ কোটিরও বেশি। এর আগে গুগল বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের সাথে ‘ডিএনআই’ নামক একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিল। মূলত কিভাবে আরও দ্রুত ওয়েব পেজ লোড করা যায়, সেই বিষয়ে কাজ করতেই এই চুক্তি করা হয়। নতুন এই ১৫০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের মাধ্যমে গুগল ডিজিটাল সাংবাদিকতাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে চাইছে। গুগল জানায়, তার ঠিক কিভাবে এই অর্থ ব্যয় করবে সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই এবং কোনো সংস্থার সঙ্গে বিশেষ কোনো চুক্তি করলে প্রজেক্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর সেটা নবায়নের প্রয়োজন নেই। ইউরোপ ভিত্তিক যেকোনো পরিকল্পনাকেই তারা এই প্রকল্পের আওতায় আনতে রাজি আছেন বলেও জানায় গুগল। প্রকল্পে তিনভাগে ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করা হবে। প্রথমে কোনো পরিকল্পনার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড খরচ করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো ডিজাইন বা গাঠনিক রুপের প্রয়োজন নেই। ২য় ক্ষেত্রে ৩০ হাজার পাউন্ড অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে আর এক্ষেত্রে প্রকল্পের ৭০ শতাংশ তৈরি থাকতে হবে।
আর সর্বশেষ সবচেয় বড় প্রজেক্টে এক মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করবে গুগল। কিছু প্রকল্পের পুরো খরচই তারা বহন করবে। আইডিয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা ধরা নিয়ম থাকবেনা উল্লেখ করে গুগল জানায়, যেকোনো অভিনব পরিকল্পনাকেই স্বাগত জানাবে তারা। অভিনব আইডিয়াগুলোর যেন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাকে শুধু সে বিষয়ই লক্ষ্য রাখবে তারা। পরিকল্পনার মাধ্যমে ভালো ফলাফল আসলে তাকেই বিবেচনায় রাখা হবে।
পরিকল্পনা জমার জন্য আজকে থেকে শুরু করে ডিসেম্বরের চার তারিখ পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। এর দ্বিতীয় ধাপ পরের বছর শুরু করার চিন্তা করছে গুগল। আবেদন থেকে বাছাই করবেন বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ ও গুগলের স্টাফদের নিয়ে গঠিত একটি প্যানেল। বড় প্রকল্পের অর্থের জন্য ভোটের আয়োজন করবে ডিএনআই কাউন্সিল। এই কাউন্সিলে তাকবেন জ’বোনের প্রতিষ্ঠাতা আলেক্সান্ডার এসিলি, স্পাইজেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাথরিনা বোর্চাট এর মতো ১২ জন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। এত বিশাল অর্থ ব্যয়ের পেছনে প্রকৃত উদ্দেশ্যর কথা জানতে চাইলে গুগল জানায়, আসলে পুরো ব্যবস্থারই একটা পরিবর্তন আনতে চায় তারা।
২০১৪ সালে জার্মান পাবলিশার এক্সেল স্প্রিঞ্জার গুগল নিউজ থেকে একটি বিষয় নিজেদের নামে প্রকাশ করার পর বিপাকে পড়ে গুগল। দুই সপ্তাহ পরে আবারে সেটা প্রকাশ করে কোম্পানিটি। একই ঘটনা ঘটে স্পেন এ। দেশটি গুগলকে তাদের আর্টিকেল ব্যবহার করার জন্য টাকা দেয়ার জন্য চাপ দেয়। এর প্রেক্ষিতেই দেশটি থেকে গুগল নিউজ সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয় এবং এখনও সেটা বন্ধই রয়েছে। গুগল জানায়, সংবাদের এমন ব্যবস্থায় আসলে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। কিন্তু তারা প্রমাণ করতে চায় যে তারা স্বচ্ছ এবং তারা এই ক্ষেত্রে স্বচ্ছভাবেই বিনিয়েগ করছে। ২০১৬ সালের শুরুর দিকেই গুগলের প্রথম অংশের ফান্ডিং শুরু হবে বলে জানা যায়। সূত্র: দ্য নেক্সট ওয়েব