রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১

বাঁধের কাছ থেকে মাটি উত্তোলন: ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধে আতঙ্কিত কৃষক

amarsurma.com

মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার/গোলাম জিলানী:
হাওর রক্ষা বাঁধে মাটি কাটা নিয়ে প্রথম থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরও মাটি কাটা হচ্ছে বাঁধে। তবে বাঁধকে ঝুঁকিমুক্ত করার পরিবর্তে আরও বেশি ঝুকির মধ্যে ফেলার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট পিআইসির বিরুদ্ধে। আর তাদের এই অনিয়ম কাজে সরাসরি সহায়তা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও হাসান গাজী। এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন হাওরপাড়ের কৃষকগণ। শুধু তাই নয়, বাঁধ নিয়ে কোন ধরণের নাক গলানোর জন্য নিষেধ করেছেন বাঁধ নির্মাণ কমিটির সেক্রেটারি ও ছাত্রলীগ নেতা দাবীদার রাজিব আহমদ।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রাজনগর গ্রামের মেম্বার আতাউর রহমান, এনাম আহমদ, জিয়াউর রহমান, আরজু মিয়া, মোবারক হোসেন, আলাউদ্দিন, ছফির মিয়া, সাদেক মিয়া ও কামাল মিয়াসহ স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেন, নলুয়ার হাওরের ৮নং পিআইসির বাঁধে মাটি কাটা হচ্ছে বাঁধের কাছ থেকেই। ফলে বাঁধটি ঝুঁকিমুক্ত হওয়ার পরিবর্তে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বর্তমানে রয়েছে।
গতকাল সরেজমিন বাঁধে গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় দেখা যায় এক্সেভেলেটর দিয়ে বাঁধের একেবারে কাছ থেকেই মাটি তোলা হচ্ছে। এক পর্যায়ে বাঁধ নির্মাণ কমিটির সভাপতি রয়েল হাসানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি কোন বক্তব্য দিবো না, বক্তব্য দেবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। বাঁধে মাটি কাটার অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে মাটি এনেছি একশত ফুট দূর থেকে, এখনও তাই হচ্ছে। এক্সেভেলেটর দিয়ে বাঁধের গোড়া থেকে মাটি তুলে বাঁধকে ঝুঁকিপূর্ণ করা হচ্ছে মর্মে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়েই চলে যান।
কমিটির সেক্রেটারি রাজিব আহমদ নিজেকে ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করে বলেন, সাংবাদিকদের আমি কোন তথ্য দিতে বাধ্য নই, আপনাদের দেখার দায়িত্বও নয়। এটি দেখার দায়িত্ব‌‌‌ এসও ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের। এখানে এসে অন্য কেউ নাক গলানোর অধিকার নেই বলেও তিনি জানান।
জগদল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আতাউর রহমান বলেন, গত বছর বাঁধের গোড়ায় যে মাটি ছিল, এখন সেখান থেকেই মাটি তোলা হচ্ছে। এ বাঁধটি ৯০ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাতে খবর পেয়ে এসে দেখলাম এসও হাসান গাজীর সামনেই বাঁধের গোড়া থেকে মাটি তোলা হচ্ছে। এ সময় আমরা এভাবে মাটি কাটতে নিষেধ করি।

জগন্নাথপুর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস‌‌‌ ও হাসান গাজী বলেন, বাঁধের উপর মাটি কাটতে তাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছি, তারা সে অনুযায়ী মাটি কাটবে। বাঁধের কাছ থেকে মাটি তোলা হচ্ছে আপনি কি জানেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি তাদেরকে বলেছি দূর থেকে মাটি আনতে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি স্বীকার করেন বাঁধে মাটি কাটা সঠিকভাবে হচ্ছে না।

amarsurma.com

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com