রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সারাদেশে আরো নাশকতা হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা। ওই নাশকতা মোকাবেলায় তাদের আরো সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। জননিরাপত্তায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার, রাজধানীসহ বিভাগীয় শহর-বন্দর এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বাড়ানো এবং সন্দেহজনক এলাকার তালিকা করে তল্লাশি করতে বলা হয়েছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আরো কঠোর নজরদারি বাড়াতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেয়া হয়। পাশাপাশি কেপিআইভুক্ত ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা বাড়ানোরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়। বৈঠকে অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলোকে আইনি কাঠামোয় আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। বৈঠকে সারাদেশে মোটরসাইকেল আরোহীদের ওপর আরোপিত কড়াকড়ি যথাযথভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়। এ সময় একজন সিনিয়র মন্ত্রী বলেন, মোটরসাইকেল আরোহীদের প্রতি কড়াকড়ি থাকলেও এটি মানা হচ্ছেনা। রাস্তায় দেখা যায়, এক মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন আরোহীও ঘুরে বেড়ান। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিক স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেলে এমন ঘটনা বেশি ঘটতে দেখা যায়। এগুলো দ্রুত বন্ধ করে আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সম্প্রতি ঢাকা ও রংপুরে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকা-ের তদন্ত সম্পর্কিত প্রতিবেদন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় দুই বিদেশি হত্যাকা-ের ব্যাপারে আরো যাচাই-বাছাই করে যাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। সভায় গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা কমিটিকে জানান, দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডে বিএনপি-জামায়াতের আরো কয়েক নেতার জড়িত থাকার বিষয়ে কিছু তথ্য হাতে এসেছে। এ বিষয়ে আরো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তদন্তে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক দুই নেতার নাম এসেছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি আরো বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সভায় জানানো হয়, কূটনৈতিকপাড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি পর্যাপ্ত রয়েছে। দেশে জঙ্গি সংগঠন আইএসের অস্তিত্ব না থাকলেও একটি মহল দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডে আইএসের জড়িত থাকার প্রমাণের চেষ্টা করছে। এজন্য একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক লবিস্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদারকির জন্য কমিটির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।