শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
দিরাইয়ে বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
দিরাই থানা ও গ্রামবাসি সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা বারঘরের একটি বিলে বাঁধ দেয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার পৌণে ৩টার দিকে ভাটিপাড়া গ্রামের শাহ আলম দ্বীপ ও মুহাম্মদ কাজল নূর মিয়ার লোকজনের মধ্যে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ ঘটলে ঘটনাস্থলেই গ্রামের মৃত আব্দুশ শহিদের ছেলে রুহেদ মিয়া (৩৫) মারা যায়। এ ঘটনায় নারীসহ উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়।
সূত্র জানায়, উপজেলার মেঘনা বারঘর এলাকায় একটি বিল দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়ের পক্ষে লিজ আনেন আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম দ্বীপ। সেখানে তারা বাঁধ দিয়ে মাছ ধরতে গেলে জমির মালিকানা দাবি করে তাতে বাঁধা দেন কাজল নূরের লোকজন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাটিপাড়া গ্রামের চক্করের মাঠে সোমবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সূত্র আরও জানায়, দীর্ঘ ১২ বছর যাবত কাজল নূর মিয়ার মালিকানাধীন জমিতে দেশীয় ছোট মাছ মারার জন্য বাঁধ দিয়ে মাছ মারছেন। কোনদিন কেউ নিষেধ বাঁধা না দিলেও আজ হঠাৎ করে মেঘনা বারঘর বিলের শাহ আলম দীপের পক্ষের লোকেরা উক্ত জমিতে মাছ ধরার উপর নিষেধ দিচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপ সংঘর্ষ জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে জসিম (২৮), ফয়জুল (৪২), অন্তর (২০), সুজাহান (২২), আরমান (২৫), ফায়িন (৩০), মিলন (২০), ওয়াহিন নূর (২৬), মোছা: মরি বেগম, মেহেরাজ, সানোয়ার, নেকবর, আনোয়ারসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
দিরাই থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোঃ আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলেই অবস্থান করছি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দিরাই থানায় কোন মামলা হয়নি, কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি।