রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
হাওর এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

হাওর এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

amarsurma.com

আমার সুরমা ডটকম:

হাওর এলাকায় রাস্তাঘাট করা যাবে না এবং সেখানে এখন থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার বিষয়ে তিনি বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন থেকে হাওর এলাকায় নতুন করে রাস্তাঘাট করা যাবে না। সেখানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, হাওর এলাকায় এখন যে বাঁধ গুলো আছে, সেগুলোতে এক-দেড় কিলোমিটার পরপর ব্রিজ করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে মেঘনা নদীর পানি। এতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের উপজেলার জোয়ানশাহী হাওরের কৃষকদের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক। যে কোনো সময় পানি ঢুকে তলিয়ে যেতে পারে বোরো ধান। তবে প্রতিবারের মতো এবারও মেঘনার বাড়তি পানির চাপ সামলাতে অস্থায়ীভাবে একটি বাঁধ নির্মাণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে এ বাঁধ নির্মাণে উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ। ফলে যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢোকার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
কৃষি অধিদপ্তর থেকে বলা হয়, উপজেলার শ্রীনগর, আগানগর ও সাদেকপুর ইউনিয়ন নিয়ে জোয়ানশাহী হাওরটির অবস্থান। এ হাওরে সাধারণত প্রতি একর জমিতে ৬০ থেকে ৭০ মণ ধান উৎপাদন হয়। ফলে কৃষি অর্থনীতিতে হাওরটি অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
জোয়ানশাহী হাওরের তিন হাজার একর জমিতে বছরে একবার বোরো ধান আবাদ করেন স্থানীয় কৃষকরা। ফলে এ অঞ্চলের কৃষকদের স্বপ্নের ফসল বোরো ধান। এ হাওরের সঙ্গে উপজেলার ৩০ হাজার কৃষকের পরিবার জড়িত রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, হাওরে ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকরা দেশের কৃষি অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখলেও তারা রয়েছেন অবহেলিত ও বঞ্চিত। জোয়ানশাহী হাওরের মাঝে মাত্র ৩০ ফুট প্রস্থের একটি খাল রয়েছে। ওরাল খাল নামের এ খালটি মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। কিন্তু খালটিতে কোনো স্লুইসগেট নেই। এ কারণে উজান থেকে নেমে আসা পানি হাওরে ঢুকে প্রায় বছরেই ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি, হাওরের ফসল রক্ষায় একটি স্লুইসগেট নির্মাণের। এবার সেই দাবি পূরণে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি স্লুইসগেট নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও এখন পর্যন্ত শুধু মাটি কাটার কাজ শেষ হয়েছে। ফলে হাওরে পানি প্রবেশের আগে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com