শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
দিরাইয়ে ১০ বছরের শিশু ধর্ষণের আসামী আব্দুল আহাদকে এখন পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় বাদীর পরিবার আতঙ্কে রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভার আনোয়ারপুর উত্তরহাটিতে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার মেয়ের মা কুলসুম বেগম বাদী হয়ে আব্দুল আহাদকে আসামী করে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৭, তারিখ: ১৭-০৯-২০২২ ইংরেজি।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের আনোয়ারপুর (উলুকান্দি) গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল আহাদ (৪৫) বাদীর মেয়ে গ্রামের মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে (১০) মজা দেয়ার লোভ দেখিয়ে মুখে কাপড় চেপে সরকারি রাস্তার পশ্চিমে আমন জমিতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর মেয়ে কাদামাখা শরীরে বাড়িতে এসে কেঁদে কেঁদে মাকে ঘটনাটি জানায়। পরে ভিকটিমকে দিরাই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে সুনামগঞ্জের শাল্লায় সালিশের নামে কিশোরীকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বার মিলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সকালে উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে পুলিশ বলছে, কিশোরীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের বাহাড়া গ্রামের মলয় দাসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর। বিয়ে না করায় গত জানুয়ারিতে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে ওই কিশোরী। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়ে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিলে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ওই কিশোরী মলয়ের বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরে মলয়ের পরিবার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুকে জানালে মলয়ের বাড়ি গিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করে দেয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে রাতেই বাড়ি পাঠিয়ে দেন। সকালে তাকে সালিশের কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন। ভূক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগ, অফিসের একটি কক্ষে ওই কিশোরীকে চেয়ারম্যান নান্টু ও তার পরিষদের মেম্বার দেবব্রত দাস মাতবর মিলে গণধর্ষণ করেন। পরে কোনো মতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে ওই কিশোরী প্রাণভয়ে থানায় আশ্রয় নেয়। তবে মামলা না নিতে পুলিশকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চলছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা মহিলা পুলিশের মাধ্যমে যতটুকু জানতে পেরেছি, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার ওই কিশোরীকে শ্লীলতাহানি করেছে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে দিরাইয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিশু ধর্ষণের মূল আসামী আব্দুল আহাদ ও শাল্লায় কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতাদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার বিকেল ৫টায় দিরাই থানাপয়েন্টে মানববন্ধন করেছে সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি বাংলাদেশ দিরাই উপজেলা শাখা।
শাখার সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন শরীফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বদিউজ্জামান বদরুলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মৌলভী রজব আলী, মোঃ মুজিবুর রহমান, মোঃ গোলাম জিলানী প্রমুখ।