বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
জ্যৈষ্ঠ মাসকে মধু মাস বা মধুফলের মাসও বলা হয়। এ মাসেই বাজারে সাধারণত বিভিন্ন ফল পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এসব ফল কিনতে তাই সব সময় বাজারে ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে ফলন হওয়া কিছু আম, জাম, লিছু পাওয়া যায়। তবে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আম, কাঁঠাল, লিছু অপরিপক্ক হওয়ায় ক্রেতারা মধুফলের প্রকৃত স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি বেশি মূল্যে ক্রয় করে ঠকছেন ক্রেতারাও।
সরেজমিন সুনামগঞ্জের পৌরশহরের দিরাই বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে প্রচুর আম, লিছু ও কাঁঠাল এসেছে। এসব আম রাজশাহী, কাঁঠাল টাঙ্গাইলের মধুপুর ও লিছু রাজশাহী, সিলেটের কানাইঘাট, মৌলভীবাজারের জলডুব থেকে এসেছে।
ব্যবসায়িরা জানান, কাঁঠাল প্রকারভেদে প্রতি পিছ ৫০-২শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজশাহীর আম লখনা ৪০-৫০ টাকা কেজি, গুটি ৩০-৬০ টাকা কেজি, হিমসাগর ১২০-১৩৫ টাকা কেজি, লক্ষণভোগ ৪০ টাকা কেজি, লেংরা ৮০-৯০ টাকা কেজি, দেশি ৫০ টাকা কেজি। মৌলভীবাজারের জলডুবের ৫০ পিছের লিছুর আটি ১শত টাকা, সিলেটের কানাইঘাটের লিছু ৫০-৭৫ টাকা, রাজশাহীর ৬০ পিছের লিছুর আটি ১শত থেকে ১৫০ টাকা। তবে গণনাকালে ৫০ পিছ পাওয়া যায় না।
মধুমাসের মধুফল কিনতে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতার সাথে আলাপকালে তারা জানান, চড়া দামে কেনা মধুমাসের ফলে মধুর স্বাদ পাচ্ছিনা। বাগান মালিক, বিক্রেতারা বেশি মুনাফার আশায় অপরিপক্ক এসব মধু ফল বিক্রি করছে বলেও তারা জানান।