মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর পাকিস্তান যে মতামত দিয়েছিল তার কড়া প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ। এজন্য গত ২৩ নভেম্বরে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সুজা আলমকে তলব করে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশের এই কড়া প্রতিবাদকে তারা আজ সোমবার প্রত্যাখ্যান করেছে বলে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ব্যাপারে সোমবার পাকিস্তানে অবস্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও সার্ক অনুবিভাগের মহাপরিচালক বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ মতামত জানিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ তার প্রতিবাদপত্রে যা দাবি করেছে পাকিস্তান তা প্রত্যাখ্যান করেছে। যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধের নৃশংসতার যে ইঙ্গিত প্রতিবাদপত্রে দেওয়া হয়েছে তাও প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটা খুব দুঃখজনক যে- বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানকে মানহানি করার চেষ্টা করছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আমাদের মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিমদের পৃথক ভূখণ্ড করায় দুই দেশের মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মানুষদের মঙ্গলের জন্য বন্ধুত্ব বজায় রেখে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এছাড়া পাকিস্তান ১৯৭৪ সালের চুক্তির অপব্যাখ্যা করছে না। কারণ চুক্তিতে বলা আছে- বাংলাদেশ সরকার ‘সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে অগ্রসর হবে না।’ কিন্তু নভেম্বর ২৩ তারিখের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদপত্রে বাংলাদেশ বলেছে- ১৯৭৪ সালের চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রতিবেশীসূলভ একটি পরিবেশ তৈরি করা এবং ভবিষ্যতে এই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা। কিন্তু এ চুক্তিতে কোথাও বলা নেই যে, যারা যুদ্ধাপরাধী, যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে এবং গণহত্যা সংঘটিত করেছে, তারা অব্যাহতি পাবে এবং তাদের বিচার পরিহার করা হবে।’ বাংলাদেশ তার প্রতিবাদপত্রে এও বলেছে, পাকিস্তান যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত তাদের নাগরিকদের বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে।