শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্পের কেন্দ্র ঢাকার চারপাশের এলাকায় হলে রাজধানীর ৭২ হাজার ভবন পুরোপুরি ধসে পড়বে বলে ধারণা করছে বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, এমন ঝঁকি থাকলেও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই দেশটির।
গত ৪ জানুয়ারি ভোর রাতে রিখটার স্কেলে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশ। এই ঘটনায় শুধুমাত্র আতঙ্কেই মারা যান ছয়জন। সাধারণ মানুষের আতঙ্ক এবং চিৎকারে সৃষ্টি হয় এক ভীতিকর অবস্থার। তাঁদের কথা, এবারের ভূমিকম্পের মতো কম্পন তাঁরা আগে কখনো দেখেননি। ভূমিকম্পের সময় তাড়াহুড়ো করে বাইরে বের হতে গিয়ে আহত হন শতাধিক। ঢাকায় ছয়টি ভবন হেলে পড়ার খবরও পাওয়া যায়। এছাড়া সারাদেশে ৫০টিরও বেশি ভবন হেলে পড়ে অথবা ফাটল ধরে জানা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এবং ইউএনডিপি’র দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ এ কে এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘‘এবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ঢাকা থেকে ৩৫০ কি.মি. দূরে মনিপুর রাজ্য। কেন্দ্রের মাত্রা ছিল ৬.৭। ওই কেন্দ্রে নাকি ৮.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা ছিল। আর সেটা যদি হতো, তাহলে ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়তো।
তিনি আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই ১২টি ভূমিকম্প ফাটল আছে। এসব জায়গায় ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। ঢাকার অদূরে মধুপুর ফাটল খুব বিপজ্জনক। প্রতি ১০০ বছর পর পর ফাটল থেকে বড় আকারের ভূমিকম্প হয়। এর আগে ১৮২২ এবং ১৯১৮ সালে বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প হয়েছে। তাই আরেকটি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে আছি আমরা।