মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : অতীতে একবার তিনি পিটিয়েছিলেন এক প্রকৌশলীকে। সেটা ছিল বছর দেড়েক আগের ঘটনা। এবার আবারো নতুন করে ময়মনসিংহ শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের চাচাতো ভাইকে থাপ্পর মেরেছেন ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ।
শুধু কী তাই, শহরের বিশিষ্ট এ ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে স্থানীয় এমপি ও তার ক্যাডাররা। এ ঘটনায় শঙ্কিত ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান এমপির রোষানল থেকে রক্ষা পেতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এমন অভিযোগে বুধবার বিকেলে স্থানীয় প্রেসক্লাব ময়মনসিংহে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান খান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, উত্তরাধিকার সূত্রে আমি মুমিনুন্নিসা এক্সেল টাওয়ারের ৫ টি ফ্ল্যাটের মালিক। কিন্তু ৩ বছর আগে এক্সেল রিয়েল এস্টেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের এমডি উসমান গণি ৪৯ জন ফ্ল্যাট মালিককে এসব ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মালিকদের রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। এতে করে দীর্ঘ দিন ধরে বেশ কষ্টে রয়েছেন ওই ফ্ল্যাট মালিকরা। এ বিষয়ে আমি সুরাহার উদ্যোগ নিলে ওই সংসদ সদস্যের আশীর্বাদপুষ্ট স্থানীয় সন্ত্রাসী সৈকত ও শাওন আমার উপর চড়াও হয় এবং গত ১৬ জানুয়ারি তারা মুমিনুন্নিসা এক্সেল টাওয়ারে হামলা করে। ঘটনার সময় এমপি শরীফ এগিয়ে এসে আমার চাচাতো ভাই মামুন হাসান খানকে থাপ্পর মারেন। ওই ক্যাডাররা মামুন হাসান খানের প্রাণনাশের চেষ্টা করলে তিনি দৌড়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। পরবর্তীতে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি জিডি করেন বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরো অভিযোগ করে বলেন, ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে ময়মনসিংহ। অথচ এমপি’র মদদে ওই সন্ত্রাসীরা মুমিনুন্নিসা এক্সেল টাওয়ারের উপর জোরপূর্বক সুউচ্চ টাওয়ার ও ডিশ এন্টেনা স্থাপন করে অবৈধ ব্যবসা শুরু করেছে। এতে করে ওই ভবনে বসবাসকারীরা আতঙ্কে রয়েছেন। এমপি’র ক্যাডারদের ভয়ে তারা মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছেন না।
শহরের গঙ্গাদাসগুহ রোডের হোটেল মোস্তাফিজ ইন্টারন্যাশনালের একটি কক্ষ এক সময় নিয়মিত ব্যবহার করতেন এমপি শরীফ। কিন্তু গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর হোটেল কর্তৃপক্ষ তাকে ওই কক্ষ বরাদ্দ না দেয়ায় হোটেলে তাণ্ডব চালায় এমপি শরীফ নিজে ও তার ক্যাডার সৈকত। সেই সময় হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষের কর্মচারী শাহীনকে (৩২) বেধড়ক মারধর করে তারা। ক’দিন পর ভয়ে চাকরি ছেড়ে চলে যায় ওই কর্মচারী।
স্থানীয় ওই সন্ত্রাসীদের অব্যাহত তাণ্ডবে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছেন উল্লেখ করে মোস্তাফিজুর বলেন, তারা আমাকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।