শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স :
বগুড়ার সোনাতলায় তিন সন্তানের জননীর ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন মধুপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সবুর মিয়া (৩৫)। তিনি উপজেলার শালিখা দক্ষিণপাড়ার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। গ্রাম্য সালিসের সিদ্ধান্তে ওই মহিলাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন যুবলীগ নেতা সবুর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শালিখা দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা হারুনুর রশিদ ঢাকায় রিক্সাচালায়। তার স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী কামরুন নাহার (৩২) সন্তানদের নিয়ে একাই বাড়ীতে থাকে। এই সুযোগে একই গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা সবুর কামরুন নাহারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কামরুন নাহার তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কামরুন নাহারের ঘরে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে সবুর। এসময় কামরুন নাহারের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে সবুরকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দেয়। পরে সবুরের মামা বেলাল হোসেনের নিকট বিচার দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি বিচার করতে ব্যর্থ হলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল কাফী এবং মহিলা মেম্বার তারা বেগমের উপস্থিতিতে গ্রাম্য সালিস অনুষ্ঠিত হয়।
সালিসে যুবলীগ নেতা সবুর ও ৩ সন্তানের জননী কামরুন নাহারের বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একই বৈঠকে তাদের বিয়ে পড়ানো হয় বলেও জানা গেছে। এঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৈ চৈ শুরু হয়েছে।