সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : বাংলাদেশে ২ হাজার ৬২৮ জন মানুষের জন্য একজন ডাক্তার রয়েছের। এছাড়া ৮ হাজার ৬৯৬ জনের জন্য একজন করে নার্স এবং ২ হাজার ৫৫০ জনের জন্য রয়েছে একজন কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ২০১৫ সালের হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে সুপ্রর জাতীয় পরিষদ সদস্য এমএ কাদের বলেন, ‘বর্তমানে ডাক্তার নিয়োগে বেশ অগ্রগতি দেখা গেলেও স্বাস্থ্য অধিদফরের হেলথ বুলেটিন ২০১৫ অনুসারে বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের জন্য সরকারি ডাক্তার রয়েছে মাত্র ২১ হাজার ৮৪০ জন এবং শূন্যপদ আছে ১ হাজার ৭৯৬টি।’ তিনি বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গড়ে ১ লাখ মানুষের জন্য ১০ জন প্রশিক্ষিত ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে সেখানে একজনের বেশি নেই।’ এমএ কাদের বলেন, ‘সরকারি তথ্য মতে বাংলাদেশে প্রায় ৮৪ লাখ ডায়াবেটিক রোগী রয়েছে। এসব রোগীর সঠিক চিকিৎসা ও পরিচর্যা যেমন প্রয়োজন তেমনি এই রোগকে প্রতিহত করতে হলে সরকারি-বেসরকারিভাবে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তোলার বিকল্প নেই।’ সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, স্বাস্থ্যখাতের বেসরকারিকরণ এখন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলছে সামনের দিকে। ফলে স্বাস্থ্যকে অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টা দিনে দিনে অনেকটাই বিবর্ণ হতে চলেছে। স্বাস্থ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রদান করা হলেও, সেগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাস্থ্য খাতের বেসরকারিকরণ সুস্পষ্টভাবে স্বাস্থ্যসেবায় ধনী এবং দরিদ্রের বৈষম্যকে ক্রমান্বয়ে প্রকট করে তুলেছে।’ সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যকে মৌলিক চাহিদা নয় মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া, স্বাস্থ্যখাতের বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করা, সবার জন্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যখাতে মোট বাজেটের ১০ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত করাসহ আরো কয়েকটি দাবি জানানো হয়। সুপ্র’র চেয়ারপারসন আহমেদ স্বপন মাহমুদের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন প্রধান সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আবুদল মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান প্রমুখ।