মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৫ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : গোসল করার সময় গলায় শাড়ি দিয়ে পেছিয়ে ও পানিতে চুবিয়ে স্ত্রী হত্যার দায়ে ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে এলাকাবাসি, ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে। পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের মাইতি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে সুহেল আহমদ (২২) ভালোবেসে একই গ্রামের পাশাপাশি বাড়ির আনছার উদ্দিনের মাদরাসা পড়–য়া মেয়ে শিরিনা আক্তারকে (১৯) প্রায় ১ বছর পূর্বে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই সুহেলের পরিবার যৌতুক হিসেবে একটি মোটর সাইকেল দাবি করে আসছে। দিনমজুর শিরিনার পিতা তা দিতে না পারায় প্রায়ই সুহেল ও তার পরিবার শিরিনার ওপর নির্যাতন চালাতো। গত বুধবার সুহেল তার শশুরবাড়িতে রাতযাপন করে। ভোর অনুমান সাড়ে ৪টার দিকে সুহেল ও তার স্ত্রী শিরিনা বাড়ির পাশে শাখা সুরমা নদীতে গোসল করতে যায়। এ সময় সুহেল শিরিনার শাড়ি দিয়ে গলায় পেছিয়ে পানিতে চুবাতে থাকে। অনেক্ষণ ধরে মেয়ে ও জামাতা বাড়িতে না আসায় শিরিনার মা রেজিয়া বেগমের সন্দেহ হলে তিনি শুনতে পান নদীতে পানির শব্দ হচ্ছে। পাশে গিয়ে দেখেন তার মেয়ে শিরিনারকে সুহেল পানিতে চুবাচ্ছে। তার আর্তচিৎকারে বাড়ির লোকজন আসলে সুহেল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে এলাকবাসির চেষ্টায় তাকে আটক করে দিরাই থানায় খবর দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং ঘাতক সুহেলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জে প্রেরণ করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে নিহতের চাচাতো ভাই নাজিম উদ্দিন জানান, সুহেল পার্শ্ববর্তী নোয়ারচর মসজিদের মোয়াজ্জিন হিসেবে ছিল। বিয়ের ৩/৪ মাস পর থেকেই সুহেল ও তার পরিবারের লোকজন একটি মোটর সাইকেলের জন্য চাপ দিত এবং মাঝেমধ্যে নির্যাতন করতো। কিন্তু শিরিনার দিনমজুর পিতার সামর্থ না থাকায় তা দিতে পারেন নি বলেই তার এই নির্মম পরিণতি হলো। এর আগেও সুহেল একবার শিরিনাকে পানিতে চুবিয়ে মারার চেষ্টা করে জানিয়ে নাজিম উদ্দিন আরো জানান, সুহেলের বিরুদ্ধে অনেক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।