মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩২ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে ইসরায়েলি নাগরিক মেন্দি এন সাফাদির বৈঠকের খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই বৈঠকের খবরটিকে আওয়ামী লীগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক বলে উল্লেখ করেছে। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয় দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার পুত্রের (জয়-সাফাদি বৈঠক) বিষয়ে বিবিসি প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তি ও সত্যতা নিয়ে। এ প্রসঙ্গে আজ রোববার বিবিসি নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। বিবিসি বলেছে, “লন্ডন থেকে অ্যামেরিকায় টেলিফোন করে মি. সাফাদির সাথে কথা বলে তার দেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে বিবিসির খবরটি (জয়-সাফাদি বৈঠক) অনলাইনে ও রেডিওতে প্রচার করা হয়।” “এ সংবাদ প্রচারের আগে টেলিফোন ও ফেসবুকে মি. ওয়াজেদের (জয়) সাথে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।”
বিবিসি বাংলার ওই খবরে মি. সাফাদি দাবি করেছিলেন যে, ওয়াশিংটনে গত বছরের শেষের দিকে সজীব ওয়াজেদের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়েছিলো। এই খবরটি গত শুক্রবার প্রচার করার দু’দিন পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আজ এই প্রতিবাদ পাঠানো হয়। সেখানে এই খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, প্রকাশিত এই সংবাদ সর্বৈব মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত। সত্যের লেশমাত্র এই সংবাদে নেই। এই সংবাদটি বাংলাদেশের জনগণ, সরকার, আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের চলমান গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।”
প্রতিবাদ-পত্রে বলা হয়, “ইসরায়েলি নাগরিক মেন্দি এন সাফাদি যে সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদের সাথে তার বৈঠকের দাবি করেছেন সেই সাক্ষাৎকারে তার পাশে দণ্ডায়মান ছিলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জাহিদ এফ সর্দার সাদী, যিনি ৬ জন কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জাল করে মিথ্যা বিবৃতি প্রদানসহ বহু প্রতারণার অভিযোগে অসংখ্যবার যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতার হয়েছেন। এমন একজন প্রতারককে সাথে নিয়ে মেন্দি এন সাফাদির সাক্ষাৎকারটি যে ষড়যন্ত্রের অংশ তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে?” আওয়ামীলীগ তার প্রতিবাদ-পত্রে যে সাক্ষাৎকারের কথা বলছে, বিবিসি বাংলা সেই সাক্ষাৎকারটির ভিত্তিতে কোনো সংবাদ পরিবেশন করেনি।
লন্ডন থেকে অ্যামেরিকায় টেলিফোন করে মি. সাফাদির সাথে কথা বলে তার দেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে বিবিসির খবরটি অনলাইনে ও রেডিওতে প্রচার করা হয়। আওয়ামীলীগের প্রতিবাদে বলা হয়েছে, “এই সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বিবিসি সজীব ওয়াজেদের সাথে যোগাযোগ করার সাংবাদিকতার নীতিমালার ন্যূনতম সৌজন্যতা বোধেরও পরিচয় দেয়নি।” কিন্তু খবরটি প্রচারের আগে এর সত্যতা যাচাই করার জন্যে টেলিফোনে ও ফেসবুকে মি. ওয়াজেদের সাথে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিবিসি বলছে, খবরটি প্রচারের পর গত দু’দিন ধরেও তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।