আমার সুরমা ডটকম :মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন কোন যুদ্ধাপরাধীর জানাজা প্রকাশ্যে খোলা মাঠে আর এ দেশের মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। কারণ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এই রাজাকার আল বদররা লাখ লাখ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জনতার জানাযা হতে দেয়নি এমনকি দাফন পর্যন্ত করতে দেয়নি। জানাযা ও দাফনের সুযোগ না দেওয়ায় ৭১’র শহীদদের লাশ কাক শেয়াল কুকুর খেয়েছে। মুসলিম হওয়ার পরও একাত্তরে আমাদের সঙ্গে রাজাকাররা যা করেছে আমরাও তাদের সঙ্গে এখন থেকে একই আচরণ করা হবে। তাদের এই আচরণের জবাব আমরাও তাদের মতোই দেব।
বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরীর পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রস্তুত করছে আগামী প্রজন্মের জানার জন্য। মুক্তিযোদ্ধাদের মেশিন রিডেবল আইডি কার্ড দেয়া হবে। এখানে জ্বাল-জ্বালিয়াতির কোন সুযোগ রাখা হবে না। মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে ৫ টায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে সুনামগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্টান শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী তার বক্তব্যে আরো বলেন, আগামী জানুয়ারির মধ্যেই সকল মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ১০ হাজার টাকা করা হবে। এই বছরের মধ্যেই বিনা খরচে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ব্যবস্থায় সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করবে। প্রত্যেক জেলা ও উপজেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসিক ভবনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মত ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধের কোন শক্তি এদেশে থাকতে পারে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সুনামগঞ্জ-মৌলভী বাজার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার রব্বানী শাহানা, জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী আমজদ (বড় ভাই), মুক্তিযোদ্ধা জেলা ইউনিটি কমান্ডার হাজী নুরুল মোমেন, মুক্তিযোদ্ধা জেলা ইউনিটি কমান্ডার ইউসুফ আল আজাদ, প্রকল্প পরিচালক মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। উদ্ভোধন পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।