রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
এসএম সাইফুল ইসলাম কবির, বিশেষ প্রতিনিধি: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাটসহ ১০ জেলার শীতের শুরুতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খেজুর রস সংগ্রহকারীরা। কয়েক হাজার গাছির সারা বছরের রুজি-রুটির নির্ভর করে এ পেশার উপর। এখনো শীতের তীব্রতা দেখা না মিললেও এরইমধ্যে খেজুর রস সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। তবে খেজুরগাছ সঙ্কটের কারণে এ বছরও চাহিদা অনুযায়ি রস পাওয়া যাবেনা বলে আশঙ্কা করেছেন সংগ্রহকারীরা।
বাগেরহাটের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এলাকার এক সময় খ্যাতি থাকলেও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুরের রস ও গুড়। কয়েক বছর আগেও এলাকার প্রতিটি বাড়িতে, ক্ষেতের আইলের পাশে ও রাস্তার দুইধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুরগাছ। কোনো পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠতো খেজুর গাছগুলো। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো গুড়। অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় এলাকার চাহিদা পূরণ করে বাড়তি গুড় সরবরাহ করা হতো দেশের বিভিন্ন স্থানে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব, লবণ পানির আগ্রাসন ও জ্বালানি হিসেবে ইট ও টালি পোড়ানোর কাজে অবাধে খেজুরগাছ ব্যবহারের ফলে মারাত্মকভাবে কমে যাচ্ছে। বর্তমানে বসতবাড়ি কিংবা ক্ষেত-খামার, এমনকি রাস্তাঘাটের পাশেও দেখা মিলেনা খেজুরগাছের। অনেকটাই বিলপ্তির পথে পরিবেশ বান্ধব গুরুত্বপূর্ণ এ গাছ। এক সময় রস সংগ্রহ করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করলেও বেশির ভাগই ছেড়ে দিয়েছেন এ পেশা, দুই-একজন এখনো ধরে রেখেছেন।
খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহকারি ফজলু শেখ, কাদের শেখ ও রহমান ফকির জানান, তিন-চার দিন হচ্ছে রস সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছে; তবে এখনো রস বেশি মিলছেনা, শীত বাড়লে রসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে তারা জানান।