রবিবার, ০৬ Jul ২০২৫, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
আবনায়ে ক্বাদিম সাকিতপুর মাদরাসার কমিটি গঠন জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল নব্য ফেরাউনের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ: ইউকে জমিয়ত সমাজ ও রাষ্ট্রের দুষ্টচক্রকে নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা জমিয়তের প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তের হেভিওয়েট প্রার্থী হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ দিরাই পৌরসভার বাজেট পেশ সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মাদকের চালান আটক দিরাইয়ের সেনা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৪, গুলিতে নিহত নিরীহ আবু সাইদ হেফাজতে ইসলাম মিডল‍্যান্ডস শাখা গঠন: সভাপতি মাওলানা এখলাছুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা এনামুল হাসান সাবীর লন্ডন মহানগর জমিয়তের ঈদ পুনর্মিলনী ও কার্যনির্বাহি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
জীবন দিয়েও বাঁচিয়ে ছিল ৪টি প্রাণ সেই বাংলাদেশি আয়া

জীবন দিয়েও বাঁচিয়ে ছিল ৪টি প্রাণ সেই বাংলাদেশি আয়া

bangladeshi maidpic_127785আমার সুরমা ডটকম ডেক্সবাংলাদেশি আয়া সুফিয়া আকতার। যার কথা আজও  ভুলতে পারেনি  আমিরাতের একটি পরিবার। ওই পরিবারের চার সন্তানকে সমুদ্রে ডুবে মরার হাত থেকে বাঁচাতে দু’বছর আগে নিজের জীবন দিয়েছিলেন ওই আয়া। রোববার অনলাইন গালফ নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর। আবুধাবির দাবায়া সমুদ্র সৈকতে সপ্তাহের  ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন আবু আবদুল্লাহ। সেখানে অকস্মাৎ গভীর পানিতে পড়ে যায় তার চার সন্তান। সুফিয়া আকতার নামে ওই বাংলাদেশি আয়া তার সন্তানদের দেখাশোনা করতেন। তিনি দেখতে পান বাচ্চারা পানিতে পড়ে গেছে। ডুবে যাচ্ছে তারা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাদেরকে উদ্ধারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন পানিতে। আবু আবদুল্লাহর সন্তানদের জীবন রক্ষা করতে পেরেছেন সুফিয়া। কিন্তু সমুদ্রের ঢেউ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন নি তিনি। গভীর সমুদ্রে ভেসে যান সুফিয়া। তাকে উদ্ধারে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন তাকে উদ্ধার করতে। তিনিও ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে সমুদ্রের ঢেউ তাকে তীরে ভাসিয়ে আনে। সবাই মিলে চেষ্টা করেন সুফিয়ার চেতনা ফেরাতে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মাফরাক হাসপাতালে। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। মারা যান সুফিয়া। তার অবদানের কথা এখনও স্মরণ করেন আবদুল্লাহর পরিবার। সুফিয়ার আত্মদানের জন্য বাংলাদেশে তার আত্মীয়-স্বজনদের এখন সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে আবদুল্লাহর পরিবার। আবদুল্লাহর মা বলেন, সুফিয়া ছিলেন অতিশয় নম্র। তাদের পরিবারের সঙ্গে তিনি ছিলেন ঘনিষ্ঠ। দেশে অবস্থানরত তার চার সন্তানের উন্নত জীবনের জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করতেন। আবু আবদুল্লাহ বলেন, আমি সব সময়ই সুফিয়া ও তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের সঙ্গে চারটি বছর ছিলেন। এ সময়ে আমাদের আস্থা অর্জন করেছিলেন। তার সাহস ও আত্মত্যাগের জন্য আমার সন্তানরা রক্ষা পেয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com