বৃহস্পতিবার, ০৩ Jul ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
মৌসুমের শুরুতেই অপরিপক্ব লিচুতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। তবে দামের ক্ষেত্রেও চড়া বলে জানান ক্রেতারা। এমন অপরিপক্ব লিচু সুনামগঞ্জের দিরাই বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বাজারের প্রতিটি ফলের দোকানে শোভা পাচ্ছে মৌসুমী অন্যান্য ফলের পাশাপাশি লিচুও। গত ১৫ দিন ধরে এসব অপরিপক্ব লিচু বাজারে এসেছে বলে দাবি ব্যবসায়িদের। তারা আরো জানান, অধিক মুনাফা লাভের আশায় গাছ মালিকগণ ফল পরিপক্ব হওয়ার আগেই বাজারে ছেড়ে দেয়। আর ক্রেতারা মৌসুমী ফলের স্বাদ নিতে বেশি মূল্যে কিনে থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেটের কানাইঘাট ও ময়মনসিংহ থেকে মৌসুমী ফলের রসে ভরা লিচু পরিপক্ব হওয়ার আগেই অধিক মুনাফার লোভে গাছ মালিক ও অসাধু ব্যবসায়িরা দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন এসব অপরিপক্ব লিচু। প্রতিটি লিচুর আঁটিতে ৪০-৫০টি থাকে। এর দাম লিচু ভেদে ছোট ও অপরিপক্ব ১৫০-২০০ টাকা আর মাঝারি ধরণের ২০০-২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
একাধিক ক্রেতা জানিয়েছেন, মৌসুমী ফল হিসেবে সন্তানদের মুখে তুলে দিতেই এসব অপরিপক্ব ফল খাওয়াচ্ছি। আর ব্যবসায়িরা জানান, মৌসুম শুরুর আগেই গাছ মালিক ও অসাধু ব্যবসায়িরা অধিক মুনাফার লোভে অসময়ে বাজারে ফল বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা লুটে নিচ্ছে। ক্রেতাদের দাবি, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলে অসাধু ব্যবসায়িরা এসব অপরিপক্ব লিচু বাজারে বিক্রি করতে পারতো না।
দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্জীব সরকার জানান, বাজারে অপরিপক্ব লিচু আসছে, তা আমার জানা নেই। আমরা বাজার মনিটর করে দেখবো, যাতে ব্যবসায়িরা পরিপক্ব লিচুসহ সকল প্রকার মৌসুমী ফল বাজারে বিক্রি করেন। পাশাপাশি তিনি সাধারণ জনগণকেও সচেতন হতে পরামর্শ দেন।