রবিবার, ০৬ Jul ২০২৫, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
আবনায়ে ক্বাদিম সাকিতপুর মাদরাসার কমিটি গঠন জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল নব্য ফেরাউনের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ: ইউকে জমিয়ত সমাজ ও রাষ্ট্রের দুষ্টচক্রকে নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা জমিয়তের প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তের হেভিওয়েট প্রার্থী হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ দিরাই পৌরসভার বাজেট পেশ সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মাদকের চালান আটক দিরাইয়ের সেনা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৪, গুলিতে নিহত নিরীহ আবু সাইদ হেফাজতে ইসলাম মিডল‍্যান্ডস শাখা গঠন: সভাপতি মাওলানা এখলাছুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা এনামুল হাসান সাবীর লন্ডন মহানগর জমিয়তের ঈদ পুনর্মিলনী ও কার্যনির্বাহি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

বাবা রামের বিছানায় সাধ্বীদের পাঠাতো কথিত মেয়ে!

আমার সুরমা ডটকম ডেস্কধর্ষক বাবা গুরমিত রাম রহিমের সিংয়ের সঙ্গে কথিত মেয়ে হানিপ্রীতের যৌন সম্পর্কের কথা ইতিমধ্যেই জানাজানি হয়েছে। তবে বাবার এই পালিত মেয়ের বিরুদ্ধে এবার উঠেছে আরো গুরুতর অভিযোগ। খোদ হানিপ্রীতেরই ঘনিষ্ঠ এক বান্ধবী দাবি করেছেন, বাবার লালসা পূরণে সাধ্বীদের তার বিছানায় পাঠাতো খোদ এই মেয়ে। খবর: জিনিউজ।

হানিপ্রীতের ওই বান্ধবী ডেরার প্রাক্তন ওই সাধ্বী দাবি করেন, প্রতিদিন রাত ১০টার সময় হানিপ্রীতকে এসএমএস করতেন রাম রহিম। আর রাম রহিমের দাবি পূরণ করত হানিপ্রীত। তিনি বলেন, রাম রহিমের সঙ্গে হানিপ্রীতের শারীরিক সম্পর্ক ছিল। তাদের এক বিছানায় শুয়ে থাকতেও বহুবার দেখেছি। নিজে তো বটেই, অন্য মেয়েদেরও রাম রহিমের লালসার শিকার হতে বাধ্য করতো হানিপ্রীত।

তদন্তকারীদের ওই সাধ্বী জানান, রাম রহিমের ডেরায় যখন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো, তখন সুন্দরী সাধ্বীদের অনুষ্ঠানে হাজির করানোর দায়িত্ব থাকতো হানিপ্রীতের উপর। তিনি বলেন, প্রত্যেক সাধ্বীর উপরই নজর থাকতো রাম রহিমের। যাকে পছন্দ হতো, তাকে রাতে যেতে হতো বাবার গুহায়। কোন সাধ্বীকে সেই রাতে লালসার শিকার বানাতে চান, তা অনুষ্ঠান চলাকালীনই ঠিক করে নিতেন রাম রহিম। পরে তার নাম হানিপ্রীতের মোবাইলে এসএমএস করে দিতেন তিনি।

সাধ্বীর দাবি, প্রথমে স্বেচ্ছায় আনন্দের সঙ্গে গুহায় যেতে রাজি থাকত মেয়েরা। কারণ হানিপ্রীত তাদের বোঝাতো- তারা বাবার আশির্বাদ পাবে। এরপর হানিপ্রীত তাদের গোলাপি রঙের পানীয় খাওয়াতো। সেটা পান করার পরই কিছুটা আচ্ছন্ন হয়ে যেত তারা। ভণ্ডবাবার গুহা থেকে বের হওয়ার পর কোনো মেয়েই আর কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে থাকতো না। সাধ্বীর কথায় উঠে এসেছে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাম রহিম নাকি গুহার ভিতর ৪-৫ জন সাধ্বীর সঙ্গে নগ্ন অবস্থায় নাচও করতেন।

দুই সাধ্বীকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের সাজা খাটছেন বাবা রাম রহিম। বাবাকে জেলে পুরতেই উধাও হয়ে গেছেন তার কথিত কন্যা মোস্ট ওয়ান্টেড হানিপ্রীত। তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com