মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
সমাজ ও রাষ্ট্রের দুষ্টচক্রকে নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী দিরাই পৌরসভার বাজেট পেশ সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মাদকের চালান আটক দিরাইয়ের সেনা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৪, গুলিতে নিহত নিরীহ আবু সাইদ হেফাজতে ইসলাম মিডল‍্যান্ডস শাখা গঠন: সভাপতি মাওলানা এখলাছুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা এনামুল হাসান সাবীর হত্যার হুমকির শিকার শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাব সদস্য, থানায় জিডি দিরাই-শাল্লার উন্নয়নে ড. শোয়াইব আহমদকে জয়যুক্ত করতে হবে: মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী আল-হক্ব ফুযালা পরিষদের নতুন কমিটি গঠন পবিত্র হজ আজ সুনামগঞ্জে প্রস্তুত অর্ধ লক্ষাধিক কুরবাণীর পশু
রোজাদারের জন্য ৬টি কাজ করা নিষিদ্ধ

রোজাদারের জন্য ৬টি কাজ করা নিষিদ্ধ

মিজান আহমদ, (জগন্নাথপুর)কোন ব্যক্তি যদি রোজা রেখে নিচের ৬টি কাজ করে, তাহলে তার রোজা নিশ্চিত ভাবে উপোশের মতো হয়ে যাবে। অর্থ্যাৎ রোজাদার ব্যক্তিকে শুধু না খেয়ে থাকলেই হবে না, বরং সকল অনৈতিক বিষয়ে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। রমাজান মাসে রোজাদার ব্যক্তিকে কোন ছয়টি জিনিস করা একেবারেই নিষিদ্ধ চলুন তা জেনে আসি।

১) দৃষ্টি সংযত রাখতে হবে। তাই বেগানা মেয়েদের দেখা থেকে চোখকে হেফাজত করুন। তা সরাসরি দেখা হোক বা টিভি-সিনেমায় দেখা হোক বা ম্যাগাজিন ও পত্রিকার ছবি হোক। অনেকে রোজা রেখে অবসর সময় নাটক-সিনেমা দেখে কাটায়। এতে তাদের রোজা হালকা হয়ে যায়।
২) জবানের হেফাজত করা। অর্থাৎ মিথ্যা, গীবত, পরনিন্দা, অশ্লীল কথাবার্তা ও ঝগড়া থেকে রিবত থাকা। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় মিথ্যাচার ও মন্দ কাজ ত্যাগ করেনি তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। -সহিহ বুখারি: ১/২৫৫, হাদিস- ১৯০৩
অন্য এক হাদিসে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘রোজা অবস্থায় তোমাদের কেউ যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং শোরগোল, হট্টগোলে লিপ্ত না হয়। যদি কেউ তার সঙ্গে গালিগালাজ বা মারামারি-কাটাকাটিতে লিপ্ত হতে চায় তবে সে (অনুরূপ আচরণ না করে) বলবে, আমি রোজাদার।’ এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, রোজা অবস্থায় মারামারি ও ঝগড়াঝাটি তো দূরের কথা, শোরগোল করাও রোজার আদব পরিপন্থী। অতএব জবানকে এসব থেকে বিরত রেখে সর্বদা জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে তরতাজা রাখবে।

৩) কানের হেফাজত। যেমন-গান শোনা, গীবত, পরনিন্দা ও অশ্লীল কথাবার্তা শোনা থেকে বিরত থাকা।

৪) অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, যেমন হাত-পা ইত্যাদিকেও গোনাহ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা।

৫) অন্তরকেও সব রকমের গোনাহ থেকে বিরত রাখা। যেমন- গোনাহের কল্পনা করা, পেছনের গোনাহ স্মরণ করে স্বাদ গ্রহণ করা, অহঙ্কার, হিংসা, কু-ধারণা ইত্যাদি থেকে অন্তরকে হেফাজত করা।

৬) সেহরি ও ইফতারে হারাম আহার পরিহার করা। ইমাম গাজ্জালী (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি সারাদিন রোজা রেখে হারাম খাবার দ্বারা ইফতার করে সে যেন একটি অট্টালিকা নির্মাণ করে আর একটি শহর ধ্বংস করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com