রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার: ‘কোন ধরণের পরিচর্যা নেই, প্রাকৃতিকভাবে মুকুল আসে; গুটি বড় হয়ে আম ধরে, আবার কিছু ঝরেও যায়, তারপরও প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার উপযোগি আম পাওয়া যায়’। এটি হল সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার আম গাছগুলোর চিত্র। দিরাই উপজেলা কৃষি অফিসে আম গাছের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও তারা বলেছেন প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই কিছু না কিছু আম গাছ রয়েছে। তবে এগুলো পরিচর্যা বিহীন হওয়ায় এতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-আমে পোকার আক্রমণ, পছে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
বর্তমান মৌসুমে উপজেলার এমন কোন গ্রাম বা বাড়ি নেই, যেখানে আম গাছ নেই। আবার তাতে প্রচুর পরিমাণে এ বছর মুকুল এসেছে। অনেক মুরুব্বীরা জানান, যে বছর আম গাছে বেশি মুকুল আসে, সে বছর নাকি দেশে বৃষ্টি-বাদাল বেশি হয়। তবে এই কথাটি কতটুকু বাস্তব বা যুক্তিনির্ভর, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার আম গাছগুলোতে যে আম আসে, তা বেশির ভাগই দেশি প্রজাতির; তা খেতেও ভিন্ন স্বাধ পাওয়া যায়। এরমধ্যে যেমন টক আম রয়েছে, তেমনিভাবে মিষ্টি আমও আছে। তাছাড়া পরিচর্যা না করার কারণে বেশিরভাগ আম গাছের মুকুল অকালেই ঝরে পড়ে, আম অনেক আমেই পোকার আক্রমণ ঘটে।
স্থানীয় কৃষি অফিসের মতে, যদি কেউ আম গাছে সঠিক যতœ করে, তবে এ উপজেলার আম খেয়েও প্রচুর পরিমাণে বিক্রি করতে পারবে। উপজেলার অনেকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, আমের মৌসুমে প্রত্যেকেই নিজেরা খাওয়ার পরও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠিয়ে থাকেন। তাছাড়া বাড়িতে দাওয়াত দিয়েও অনেকেই আম খাওয়ান। আবার অনেকেই খাওয়ার পাশাপাশি বিক্রিও করে থাকেন।
স্থানীয় কৃষিবিদদের পরামর্শ, যে সময় আমে মুকুল আসে, হিসেব করে এর আগেই আম গাছে পরিচর্যা শুরু করলে আরো ভাল ফলন আশা করা যায়। তবে অনেক সৌখিন আম চাষিদের অভিযোগ, স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে এ ব্যাপারে কোন তদারকি নেই এবং ভালো পরামর্শও পাওয়া যায় না। সরেজমিন অনেক গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, শুধুমাত্র মুকুলের ভারেই এ বছল আম গাছগুলো নুয়ে গেছে। যদি আবহাওয়া অনুকূল থাকে, তবে অন্য কয়েক বছরের চেয়ে এ বছর আমের ফলন বেশি হবে বলে সকলেই ধারণা করছেন।