মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
উপজেলা সদর দিরাইয়ের দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগের ব্যবস্থা হচ্ছে ধল বাজার নৌকা ও খেয়াঘাট। এ রাস্তায় প্রতিদিন কমপক্ষে ২ থেকে ৩শত হোন্ডা চলাচল করে। আর একে কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ধলবাজার নৌকাঘাট একটি ব্যস্ততম নৌ রুট হিসেবে পরিচিত। বর্ষায় নৌকা যোগে মার্কুলী হতে ধল হয়ে দিরাই যেতে হয়। শুকনো মৌসুমেও সরালীতোপা ঘাট থেকে কালনী নদী পাড় হয়ে ধল বাজারে এসে গাড়ি দিয়েই দিরাই যেতে হয়। ফলে দিরাই উপজেলা সদরের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগের রাস্তা হিসেবে ধল-দিরাই রাস্তা পরিচিত।
সূত্র আরো জানায়, কুশিয়ারা নদীর দক্ষিণের কয়েকটি জেলার সাথে উত্তরের যোগাযোগ একমাত্র এ রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, হোন্ডা ও বাইসাইকেল কালনী নদী পারাপার এখান থেকেই করতে হয়।
কিন্তু এই সুযোগে এখানে গড়ে উঠেছে হোন্ডা পারাপার ও নৌকা মালিক সমিতি। যারা নদী পারাপারের হোন্ডারোহিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। প্রায় কোয়ার্টার কিলোমিটার নদীপথ হোন্ডাসহ আরোহীর ভাড়া ৫০ টাকা আদায় করছেন তারা, যা বাংলাদেশের আর কোথাও নাই। প্রতিদিন এ রাস্তায় প্রায় ২ থেকে ৩শত হোন্ডা যাতায়াত করে থাকে। যাত্রীদের অভিযোগ এখানে ২০ টাকা হলেই যথেষ্ট। যাত্রীরা বিভিন্ন এলাকায় থাকার কারণে কেউ এর প্রতিবাদ করতে পারছে না। আর কেউ প্রতিবাদ করলে ওরা সংঘবদ্ধভাবে প্রতিবাদকারীকে নাজেহাল করে, তাই মান-সম্মানের ভয়ে সবাই এ নীরব অত্যাচার সহ্য করছেন।
এদিকে নৌকাঘাটে যাওয়ার কালভার্টের মাটি সরে গিয়েছে, যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানা গেছে। ইচ্ছে করলে হোন্ডা পারাপার ও নৌকা মালিক সমিতি কালভার্টের পাশে সামান্য টাকা খরচ করে মাটি ফেলে মেরামত করতে পারে। তাছাড়া তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদও এলাকাবাসির স্বার্থে এখানে মাটি কেটে উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারে। কিন্তু তাদের ভূমিকাও এখানে প্রশ্নবিদ্ধ। এলাকাবাসির দাবী, প্রতি হোন্ডা যাত্রীসহ ভাড়া ২৫ টাকা করা হোক, হোন্ডা পারাপার ও নৌকার মালিকগণ নিজ খরচে এই কালভার্টের ভাঙ্গায় মাটি পেলে ভরাট করুক। ভুক্ত ভোগীদের আশা, ধল গ্রামবাসি, ধল বাজার কমিটি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ এই বিষয়টির প্রতি সদয় দৃষ্টি দেবেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাড়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কদ্দুস জানান, ধল বাজারের খেয়াঘাটটি লিজ দেয়া হয়নি, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মানুষ এটি নিয়ন্ত্রণ করছে। আমরা এটির নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে অনেট চেষ্টা করেছি। তাছাড়া কালভার্টটির মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে এলজিইডির আওতায় দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই এটির মেরামতের কাজ হবে বলে তিনি আশা করেন।