সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১

রক্তাক্ত শ্রীলঙ্কায় নিহত ২৯০

amarsurma.com

আহত ৫শ’র বেশি: নিহতদের মধ্যে বিদেশী ৩৫ জন: জরুরি অবস্থা জারি: জাতীয় শোক দিবস আজ

আমার সুরমা ডটকম ডেক্স:

শ্রীলঙ্কায় রোববার আটটি বিস্ফোরণে ২৯০ জন নিহত ও ৫ শতাধিক আহত হয়েছে। বহু ধর্মের দেশটিতে এই রক্তাক্ত হামলা শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। পরিকল্পিত ও সমন্বিত নজিরবিহীন হামলাটি চালানো হয় দেশটির মূলধারার ক্যাথলিক চার্চগুলোর ইস্টার চার্চ সার্ভিস ও কলম্বোর ৫টি ৫ তারকা হোটেলের তিনটির ইস্টার উৎসবে। যেসব স্থানে হামলা চালানো হয় সেগুলো হচ্ছে, কোচিকাড চার্চ, বাত্তিকালোয়া গির্জা, কলম্বো সাংগ্রি-লা হোটেল, সিনামন গ্র্যান্ড হোটেল, কলম্বো কিংসবুরি হোটেল, দেহিওয়ালা জিওলজিক্যাল পার্ক এবং দেমাতাগোদা। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে বলছেন, হতাহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজন থাকায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। বোমায় বিধ্বস্ত চার্চগুলোর ধ্বংসস্তুপের মধ্যে এখনো অনেক লাশ রয়ে গেছে। তাছাড়া আহত অনেকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। নিহতদের মধ্যে ৩৫ জন বিদেশী নাগরিক রয়েছেন। এর মধ্যে ১৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। পরিচয়প্রাপ্তদের মধ্যে ৮ জনই ব্রিটিশ নাগরিক। এছাড়া স্কটিশ ৩ জন, তুরস্কের ২ জন, বাংলাদেশের ১ জন রয়েছে। ভারতীয় ৭ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
সাত জন আত্মঘাতী হামলাকারী এই বোমা হামলা চালায় বলে সরকারিভাবে দাবি করা হচ্ছে যাদের সবাই শ্রীলঙ্কার নাগরিক। তবে প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রেমাসিঙ্গে মনে করেন, আন্তর্জাতিক যোগসাজশ ছাড়া এতবড় হামলা চালানো সম্ভব নয়। হামলায় জড়িত সন্দেহে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৪ জনকে পুলিশ আটক করেছে। গত রোববারই এদের মধ্যে ১৩ জনকে আটক করা হয়। গতকাল ডাম্বুলার একটি রেস্টহাউস থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের নাম বা পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। সিআইডি দফতরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এ হামলার দায় স্বীকার করেছে উগ্রবাদী ওয়াহাবী ভাবাদর্শের অনুসারী জামায়াত আত-তাওহীদ। সংগঠনটির পূর্ণ নাম জামায়াত আত-তাওহীদ আল ওয়াতানিয়া। তাদের দায় স্বীকারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস। এ ছাড়া সউদী আরবের আল-অ্যারাবিয়া চ্যানেল সবার আগে দায় স্বীকারের খবর প্রকাশ করে। প্রায় একই ধরনের নামের আরেকটি গ্রুপ ১০ দিন আগে হামলার হুমকি দিয়েছিল বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এমন নৃশংস ঘটনা ঘটলো বলে সর্বমহল থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে।
গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার পর এবার শ্রীলঙ্কায় মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। আগুন দেয়া হয়েছে মুসলিম মালিকানাধীন কয়েকটি দোকানে। নিরাপত্তাকর্মীদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এজেন্সিয়া ইএফই ও বিদেশি সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন। রোববার রাতে দেশটির পুত্তালুম জেলায় একটি মসজিদে পেট্রলবোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া বান্দারাগামা এলাকায় মুসলিম মালিকানাধীন অন্তত দুটি দোকান ভাঙচুরের পর আগুন দেয়া হয়েছে।
গির্জাসহ আটটি স্থানে নৃশংস বোমা হামলা ও প্রাণহানিতে শোক জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস, জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ।
ওদিকে শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক ইতিহাসের ভয়াবহ এ হামলার প্রেক্ষিতে আজ জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়েছে এবং দেশটিতে বলবত করা হয়েছে জরুরী অবস্থা। গতরাত ১২টা থেকে জরুরী অবস্থা জারির কথা প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনার মিডিয়া গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে এতে নিশ্চিত করা হয় যে, জনগণের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হবে না। ‘বিশেষ শর্তযুক্ত জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের লক্ষ্যে। এর আগে গতকাল দিনের বেলা প্রত্যাহার করে নেয়া কারফিউ রাত ৮টায় ফের বলবৎ করা হয় যা ভোর ৪টা পর্যন্ত পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
শ্রীলঙ্কার রাজধানীতে গতকাল আরো একটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। গার্ডিয়ানের একজন সাংবাদিকের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সেন্ট অ্যান্থনী গির্জার কাছে লোকজন ভয়ে দৌড়াচ্ছে। ওই গির্জাতে রোববারও হামলা হয়েছিল। তবে বিবিসির সংবাদদাতা টুইট করে জানিয়েছেন, ছোট এই বিস্ফোরণটি হয়েছে গির্জার কাছে একটি ভ্যানে পাওয়া বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার সময়। গতকাল কলম্বোর পুলিশ পেত্তায় একটি বাসস্ট্যান্ড থেকে ৮৭টি লো এক্সপ্লোসিভ ডেটোনেটর উদ্ধার করেছে।
কেবিনেট মুখপাত্র রাজিথা সেনারদত্মে সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে দু’সপ্তাহ আগেই সতর্কবার্তা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। ‘৪ই এপ্রিল অর্থাৎ ঘটনার ১৪ দিন আগে আমরা তথ্য পেয়েছিলাম’। ৯ এপ্রিল গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান একটি চিঠি দিয়েছিলেন এবং এ চিঠিতে সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের অনেকের নাম লেখা ছিলো। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহে এ বিষয়ে অবহিত ছিলেন না।
ওদিকে শ্রীলঙ্কায় নৃশংস হামলার প্রতিবাদ ও ভিকটিম পরিবারগুলোর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে গতকাল প্রথম প্রহরে সব বাতি বন্ধ করে দেয়া হয়। পাকিস্তানের বিভিন্ন গির্জায় নিহতদের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।
কলম্বো পোর্টের কাছে অবস্থিত সেন্ট অ্যানথনিস চার্চটি সব ধর্মের কাছেই পরিচিত স্থান। তারা এখানে ঐশী সহায়তা কামনা করার জন্য এসে থাকে। সকাল ৮.৩০ মিনিটে প্রথম বোমা হামলার সময় সেখানে খ্রিস্টানদের পাশাপাশি হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলিমরাও ছিলেন। বোমা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চার্চে আঘাত হানে। সেটি হলো কলম্বো থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরের নেগোমবোর সেন্ট সেবাস্তিয়ান চার্চ। উপক‚লীয় এলাকায় অবস্থিত এই চার্চটি ক্যাথলিকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া পর্যটকেরাও সেখানে নিয়মিত যায়। আর ইস্টার্ন বাত্তিকালোয়া জেলার জিয়ন চার্চটি তামিল ও মুসলিম এলাকায় অবস্থিত।
হামলার পরপরই ইস্টার সানডের সব উৎসব বাতিল করা হয়, দেশজুড়ে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কলম্বোর দুটি উপশহরে (দেহিওয়েলা ও দেমাতাগোদা) আরো দুটি বিস্ফোরণের পর বেলা ৩টায় কারফিউ জারি করা হয়। দেহিওয়েলার বিস্ফোরণটি ঘটে দেশের জাতীয় চিড়িয়াখানার কাছে। সম্ভবত ছোট বাজেটের একটি হোটেল ছিল এর টার্গেট। এর আগে কারফিউ সন্ধ্যা ৬টা থেকে জারি করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ফলে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সরকারের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্ট অধিবেশনের যে আহ্বান জানিয়েছে, তা নিয়েও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, বিস্ফোরণের সাথে সাথেই পার্লামেন্ট অধিবেশন আহ্বান করা উচিত ছিল। তাদের মতে, এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা গৃহযুদ্ধের তীব্রতার সময়ও দেখা যায়নি।
হামলা থেকে রক্ষা পাওয়া এক উপাসনাকারী বলেন, পাদ্রির প্রধান বক্তৃতার পরপরই বিস্ফোরণ ঘটে। লোকজন বিশ্বাসই করতে পারেনি, কী ঘটছে। তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমরা বোমা হামলা থেকে মুক্ত ছিলাম। আমরা এলটিটিইর বোমা হামলার ঘটনা ভুলে গিয়েছিলাম। যে শহরটি উৎসবমুখর থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল, সেটি অ্যাম্বুলেন্সের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। শ্রীলঙ্কার জনসংখ্যার আট ভাগ খ্রিস্টান। তারা উৎসবটি উদযাপনের জন্য প্রধান প্রধান হোটেলে বিশেষ ইস্টার বুফের ব্যবস্থা করেছিল। সন্ত্রাসী হামলার পর হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ছুটি বাতিল করা হয়, স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত কয়েক বছরে চরমপন্থী শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধ গ্রুপগুলো খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে হামলা চালালেও তার কোনোটিই রোববারের মতো এত বিপর্যয়কর ছিল না।
বিশ্লেষকেরা ইতোমধ্যেই আশঙ্কা করছেন যে, এই হামলার ফলে শ্রীলঙ্কার পর্যটন শিল্পের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার অন্যতম রাজস্ব উৎস হলো পর্যটন। ২০১৯ পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য লোনলি প্ল্যানেট নামে প্রচারণা চালানো শুরু হয়।
প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা (তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীও) সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এই হামলাকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। সিরিসেনা তার সরকারি বিবৃতিতে বলেন, এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছি। তিনি বলেন, হামলায় জড়িতদের ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত করা হবে, দোষীদের শাস্তি দেযা হবে।
প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিঙ্গে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী থাকার জন্য ও সরকারকে সহায়তা করার জন্য শ্রীলঙ্কানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কলম্বোর আর্চবিশপ কার্ডিনাল ম্যালকম রানজিথ নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার জন্য সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো আরও সম্ভাব্য হামলার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। হামলার সম্ভাব্য স্থান হিসেবে ট্যুরিস্ট স্পট, পরিবহন কেন্দ্রগুলো, শপিং মল, হোটেল, প্রার্থনার স্থান, বিমানবন্দরসহ জনসমাগম হয় এমন স্থানগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই সতর্কতায়।
এক হামলাকারী আজম ছিল ব্রেকফাস্ট বুফের লাইনে
শ্রীলঙ্কার পাঁচ তারকা হোটেল সিনামন গ্রান্ড হোটেল। সকালে ব্রেকফাস্ট বুফের লাইনে দাঁড়ানো লোকজন। লম্বা সেই লাইনে অন্য সবার মাঝে ছদ্মবেশ ধারণ করে দাঁড়িয়েছিল এক আত্মঘাতী হামলাকারী। সেই ওই হোটেলের রেস্তোরাঁয় বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই হোটেলের একজন ম্যানেজার এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, স্থানীয় সময় রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ব্রেকফাস্ট বুফের লাইনে অন্য সব মানুষের সঙ্গে দাঁড়ানো ছিল এক আত্মঘাতী হামলাকারী। সেই ওই হোটেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায়। তার আগে চেকপোস্টে সে মিথ্যে ঠিকানা দেয়। দাবি করে, কলম্বোতে ব্যবসার জন্য গিয়েছে সে। তারপরই ওই লাইনে দাঁড়িয়ে হামলা চালায় সে। ওই ম্যানেজার আরো বলেছেন, হামলার আগের রাতে হামলাকারী নিজেকে মোহাম্মদ আজম মোহাম্মদ বলে নাম নিবন্ধিত করে। সে ব্রেকফাস্ট বুফের লাইনে দাঁড়ানোর পর যখন তাকে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছিল ঠিক সেই মুহ‚র্তে তার পিছনে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে সে নিজে ও হোটেলের অনেক অতিথি নিহত হন।
ওই ম্যানেজার ঘটনার বর্ণনা দেন এভাবে- বেশ বিশৃংখল অবস্থা চলছিল। তখন ছিল সকাল সাড়ে আটটা। সবাই ব্যস্ত ছিলেন। পরিবার নিয়ে এসেছেন বেশির ভাগ মানুষ। এ সময় ওই হামলাকারী লাইনে এসে প্রবেশ করে। আস্তে আস্তে সে সামনে চলে যায়। যখন খাবার দেয়া হবে তার ঠিক পূর্ব মুহ‚র্তে সে বিস্ফোরণ ঘটনায়। অতিথিদেরকে স্বাগত জানাচ্ছিলেন আমাদের ম্যানেজাররা। তাদের একজনও তাৎক্ষণিকভাবে মারা গেছেন।
কলম্বোয় ব্যাপক তল্লাশি
গত রোববারের সিরিজ বোমা হামলার পর শ্রীলঙ্কার পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে একজন সিরিয়ানসহ বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে। নিরাপত্তা বাহিনী কান্দানার উত্তর বাতাগামার একটি অ্যাপার্টমেন্টে হানা দেয়। গতকাল কিংসবুরি হোটেলে তল্লাশিকালে একজন সিরিয়ানকে আটক করেছে। দেহিওয়ালা জিওলজিক্যাল পার্কের কাছাকাছি একটি স্থানে হানা দিয়ে আরেক জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে বিস্ফোরণে জড়িতরা লুকিয়ে থাকার সন্দেহে পুলিশ প্যানাডুরার একটি বাড়ি তছনছ করে।
জানা গেছে, বাড়িটি মাত্র ৩ মাসের জন্য ভাড়া নেয়া হয়েছিল। সেখানে স্টিলের বল বেয়ারিং এবং বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ব্যাটারি পাওয়া গেছে।

সূত্র : বিবিসি, এসএএম, নিউজফার্স্ট ডট এল

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com