শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সুনামগঞ্জ তাহিরপুরে সহকারি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির পৌণে দুইলাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

সুনামগঞ্জ তাহিরপুরে সহকারি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির পৌণে দুইলাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

amarsurma.com

সাইফ উল্লাহ, বিশেষ প্রতিবেদক (সুনামগঞ্জ):

সরকারি কলেজের এক সহকারি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মৃত ব্যাক্তির পাওয়া পৌণে দুই লাখ টাকা আত্মসাতের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বাদাঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের নিকট এর প্রতিকার চেয়ে মৃত ব্যাক্তির স্বজন ও গ্রামবাসী অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত সহকারি অধ্যপকের নাম, আবু সালেহ মো. (এএসএম) সামাদুল ইসলাম। তিনি উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের (অব.) প্রধান শিক্ষক ও ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলামের জেষ্ট পুত্র।
নিহতের পরিবার স্বজন ও উপজেলার বাদাঘাট (উত্তর) ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামবাসী জানান, উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের প্রয়াত ওয়াজেদ আলীর মাস্টারের কনিষ্ট ছেলে গোলাম জিলানী মাসে তিনেক পুর্বে অকাল মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, এক শিশু কন্যা, এক শিশু পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রহী রেখে গেছেন।
গ্রামবাসী অভিযোগে জানান, গ্রাম সংলগ্ন বাদাঘাট সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক সামাদুল ইসলাম বাদাঘাট বাজারের জয়নাল আবেদীন মার্কেটে পুর্বে নিজেদের থাকা লাইব্রেরী কাম ষ্টেশনারী দোকানে অংশীদার (বিনিয়োগকারী) হিসাবে বছর তিনেক পুর্বে জীবিত থাকা অবস্থায় গোলাম জিলানীর নিকট থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার নগদ গ্রহন করেন। বিনিয়োগকৃত টাকার হারে প্রতি বছর শেষে হিসাব নিকাশ করে লভ্যাংশ সমঝিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জিলানীর পরিবারর, নিকটাত্বীয় ও গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে ওই টাকা গ্রহন করে সামাদুল।
মৃত্যুর পুর্বে জিলানী পরিবার,স্বজন ও গ্রামবাসীর সামনে স্থাবর অস্থাব সম্পক্তি ও সামাদুলের নিকট পৌণে দুইলাখ টাকা পাওনা টাকার বিষয়টি লিখিত আকারে এমনকি মৌখিক ভাবে অবহিত করেন। কিন্তু গোলাম জিলানী মৃত্যুর পর পাওনা টাকা পরিশোধ তো দুরের কথা মৃতের পরিবার এমনক স্বজনদের এড়িয়ে চলতে থাকেন ওই সহকারি অধ্যাপক। সম্প্রতি প্রয়াত জিলানীর বড়ভাইয়ের ছেলে জাহাঙ্গীর প্রয়াতের স্ত্রী সন্তানদের বরাত দিয়ে দেনা পরিশোধের তাগিদ দিলে নানা টালবাহানা করে সময়ক্ষেপন করতে থাকেন সামাদুল।
এদিকে এতিম অসহায় পরিবারের টাকা ফিরে পেতে সোমবার গ্রামবাসী বাদাগাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকদের শরনাপন্ন হয়ে নালিস করেন ওই সহকারি অধ্যাপকের অর্থ আত্মসাতের পায়তারা প্রসঙ্গে।
এ প্রসঙ্গে বাদাঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জুনাব আলীর নিকট জানতে চাইলে সোমবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কলেজে এসে সহকারি অধ্যাপকের নিকট পাওনা টাকা প্রয়াত ব্যাক্তির অসহায় পরিবারকে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সহযোগীতা চেয়ে সোমবার দুপুরে কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও আমাকে গ্রামবাসী অবহিত করে গেছেন। কিন্তু ওই সহকারি অধ্যাপক সোমবার কলেজে না আসায় পরবর্তীতে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিরে গ্রামবাসী কলেজ ছেড়ে যান।
সোমবার রাতে অভিযুক্ত সহকারি অধ্যাপক এএসএম সামাদুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তার ব্যাক্তিগত মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি গোলাম জিলানীর কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। আজকে (সোমবার) আমি ছুটিতে ছিলাম, আমাকে ফোন করে কলেজ থেকে জানানো হয়েছে কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
এ প্রসঙ্গে বাদাঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জুনাব আলীর নিকট জানতে চাইলে সোমবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কলেজে এসে সহকারি অধ্যাপকের নিকট পাওনা টাকা প্রয়াত ব্যাক্তির অসহায় পরিবারকে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সহযোগীতা চেয়ে সোমবার দুপুরে কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও আমাকে গ্রামবাসী অবহিত করে গেছেন। কিন্তু ওই সহকারি অধ্যাপক সোমবার কলেজে না আসায় পরবর্তীতে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে গ্রামবাসী কলেজ ছেড়ে যান।সুনামগঞ্জ তাহিরপুরে সহকারি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির পৌণে দুইলাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!
স্ইাফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ ::
সরকারি কলেজের এক সহকারি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মৃত ব্যাক্তির পাওয়া পৌণে দুই লাখ টাকা আত্মসাতের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বাদাঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের নিকট এর প্রতিকার চেয়ে মৃত ব্যাক্তির স্বজন ও গ্রামবাসী অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত সহকারি অধ্যপকের নাম, আবু সালেহ মো. (এএসএম) সামাদুল ইসলাম। তিনি উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের (অব.) প্রধান শিক্ষক ও ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলামের জেষ্ট পুত্র।
নিহতের পরিবার স্বজন ও উপজেলার বাদাঘাট (উত্তর) ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামবাসী জানান, উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের প্রয়াত ওয়াজেদ আলীর মাস্টারের কনিষ্ট ছেলে গোলাম জিলানী মাসে তিনেক পুর্বে অকাল মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, এক শিশু কন্যা, এক শিশু পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রহী রেখে গেছেন।
গ্রামবাসী অভিযোগে জানান, গ্রাম সংলগ্ন বাদাঘাট সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক সামাদুল ইসলাম বাদাঘাট বাজারের জয়নাল আবেদীন মার্কেটে পুর্বে নিজেদের থাকা লাইব্রেরী কাম ষ্টেশনারী দোকানে অংশীদার (বিনিয়োগকারী) হিসাবে বছর তিনেক পুর্বে জীবিত থাকা অবস্থায় গোলাম জিলানীর নিকট থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার নগদ গ্রহন করেন। বিনিয়োগকৃত টাকার হারে প্রতি বছর শেষে হিসাব নিকাশ করে লভ্যাংশ সমঝিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জিলানীর পরিবারর, নিকটাত্বীয় ও গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে ওই টাকা গ্রহন করে সামাদুল।
মৃত্যুর পুর্বে জিলানী পরিবার,স্বজন ও গ্রামবাসীর সামনে স্থাবর অস্থাব সম্পক্তি ও সামাদুলের নিকট পৌণে দুইলাখ টাকা পাওনা টাকার বিষয়টি লিখিত আকারে এমনকি মৌখিক ভাবে অবহিত করেন। কিন্তু গোলাম জিলানী মৃত্যুর পর পাওনা টাকা পরিশোধ তো দুরের কথা মৃতের পরিবার এমনক স্বজনদের এড়িয়ে চলতে থাকেন ওই সহকারি অধ্যাপক। সম্প্রতি প্রয়াত জিলানীর বড়ভাইয়ের ছেলে জাহাঙ্গীর প্রয়াতের স্ত্রী সন্তানদের বরাত দিয়ে দেনা পরিশোধের তাগিদ দিলে নানা টালবাহানা করে সময়ক্ষেপন করতে থাকেন সামাদুল।
এদিকে এতিম অসহায় পরিবারের টাকা ফিরে পেতে সোমবার গ্রামবাসী বাদাগাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকদের শরনাপন্ন হয়ে নালিস করেন ওই সহকারি অধ্যাপকের অর্থ আত্মসাতের পায়তারা প্রসঙ্গে।
এ প্রসঙ্গে বাদাঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জুনাব আলীর নিকট জানতে চাইলে সোমবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কলেজে এসে সহকারি অধ্যাপকের নিকট পাওনা টাকা প্রয়াত ব্যাক্তির অসহায় পরিবারকে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সহযোগীতা চেয়ে সোমবার দুপুরে কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও আমাকে গ্রামবাসী অবহিত করে গেছেন। কিন্তু ওই সহকারি অধ্যাপক সোমবার কলেজে না আসায় পরবর্তীতে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিরে গ্রামবাসী কলেজ ছেড়ে যান।
সোমবার রাতে অভিযুক্ত সহকারি অধ্যাপক এএসএম সামাদুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তার ব্যাক্তিগত মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি গোলাম জিলানীর কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। আজকে (সোমবার) আমি ছুটিতে ছিলাম, আমাকে ফোন করে কলেজ থেকে জানানো হয়েছে কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
এ প্রসঙ্গে বাদাঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জুনাব আলীর নিকট জানতে চাইলে সোমবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কলেজে এসে সহকারি অধ্যাপকের নিকট পাওনা টাকা প্রয়াত ব্যাক্তির অসহায় পরিবারকে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সহযোগীতা চেয়ে সোমবার দুপুরে কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও আমাকে গ্রামবাসী অবহিত করে গেছেন। কিন্তু ওই সহকারি অধ্যাপক সোমবার কলেজে না আসায় পরবর্তীতে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে গ্রামবাসী কলেজ ছেড়ে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com