শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
আজ ৬ আগস্ট হিরোশিমা দিবস। ৭৬ বছর আগে এই দিন ক্ষমতার লড়াইয়ের চ‚ড়ান্ত বিভৎসতা প্রত্যক্ষ করে বিশ্ব। পারমাণবিক বোমায় ধ্বংস হয় জাপানের হিরোশিমা নগরী। সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায় ৮০ হাজার মানুষ। পরে মৃতের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়ায়। এখনো সেই ভয়াবহতার জের টানতে হচ্ছে মানবজাতিকে। ‘যুদ্ধ নয় শান্তি’র বার্তা নিয়ে আজো রক্তস্নাত দিনটিকে স্মরণ করছে বিশ্ব।
চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ভয়ঙ্কর নির্দেশটা আগেই দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান।
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট সকাল বেলা। হিরোশিমায় আকাশে মার্কিন বোমারু বিমান। নাম তার ‘এনোলা গে’। বয়ে নিয়ে আসে ৬০ কেজি ওজনের ইউরেনিয়াম-২৩৫ সমৃদ্ধ বোমা-লিটল বয়। সকাল সোয়া ৮টা। হিরোসিমার মাটি স্পর্শ করে ছোট্ট বালক। নিমিশেই বিস্ফোরণ। ছাতা আকৃতি ধোঁয়ার কুÐলি। মুহ‚র্তেই পুড়ে মারা যায় ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। তখনও ঘুমের মধ্যেই ছিলেন বেশিরভাগ মানুষ। মাটির সঙ্গে মিশে যায় বেশির ভাগ স্থাপনা। ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় একটি নগরী। ভয়াবহ এ বোমার তীব্রতা শেষ হয়নি ৭৬ বছর পরও। বেঁচে থাকা অনেকেরই দেহে এখনো তেজস্ক্রিয়তার ক্ষত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ১৯৪৯ সালে হিরোশিমাকে ঘোষণা করা হয় শান্তির শহর। নির্মিত হয় শান্তি স্মৃতি পার্ক। প্রতিবছরই শোক আর বেদনায় দিনটিকে স্মরণ করে বিশ্ব। সঙ্গে চলে যুদ্ধ বিরোধী প্রচার।
তারপরও থেমে নেই পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন গবেষণার তথ্য বলছে, অন্তত ৯টি দেশের কাছে রয়েছে ৯ হাজার পরমাণু বোমা। কঠোর গোপনীয়তায় পরমাণু অস্ত্রের ভাÐার সমৃদ্ধ করা হচ্ছে। চলছে আরো বিধ্বংসী বোমা তৈরির পরিকল্পনা। যদিও যুদ্ধ নয় শান্তির বার্তা প্রচারেই অগ্রগামী বিশ্বের এসব ক্ষমতাধর রাষ্ট্রনায়করা।