শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন
হাবিব সরোয়ার আজাদ: সুনামগঞ্জের ছাতকের ছনবাড়ি নোয়াকোটে সোনাই নদীর ওপর সেতু নিমার্ণ না হওয়ায় কাঠ ও বাঁশের তৈরি অস্থায়ী সাঁকোর ওপর ভরসা করেই সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত সড়কে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে হাজারো লোকজনকে। সাধারন যাত্রী থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকসা, ট্রাক্টর পারাপার করতে সরকারি ইজারা বিহীন এ ঘাটের টোল আদায়কারীদের হাতে গুজে দিতে হচ্ছে ১০ টাকা থেকে ২শ টাকা পর্যন্ত।
সোনাই নদীর ওপর শুধু মাত্র ছনবাড়ি নামে একটি খেয়াঘাটই নয়। সোনাই নদীর ছনবাড়ি খেয়াঘাটের ১ কি.মি দক্ষিণে স্কুলের নাম ভাঙিয়ে ব্যক্তি কেন্দ্রীক বেপরোয়া টোল আদায়ের কর্মযজ্ঞ চলছে গত ২৫ বছর ধরে ‘শাহ আরফিন, নামের আরো এক খেয়াঘাটে। ভোক্তভোগি সাধারণ লোকজনের অভিযোগ সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক, ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদাসীনতার মুখে এ দুটি খেয়াঘাট সরকারি প্রক্রিয়ায় ইজারা ও নির্ধারিত হারে টোল আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় খেয়া পারাপারের নামে গণ হয়রানীর পাশাপাশি গত ২৫ বছরে সরকার বেশ কয়েক কোটি টাকাও রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছেন। ভোক্তভোগিরা অতিরিক্ত টোল দিয়ে দু’ঘাটেই লাঞ্চনা ও হয়রানীর শিকার হওয়ায় ধারণা পোষণ করছেন এ যেন আরেক ‘মগের মুল্লুক। চলতি বছর এ দুটি খেয়াঘাট অবৈধভাবে মাদরাসা ও স্কুলের নামে ব্যক্তি প্রভাবে ইজারা দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা।
এদিকে সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী সোনাইর ওপর সেতু নির্মাণের দাবিতে শনিবার ছববাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়–য়া কয়েকশত শিক্ষার্থী কাঁঠ ও বাঁশের তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর ওপর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।