শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার : গাফলা খেলা নিয়ে বাকবিতণ্ডার পর এক পর্যায়ে উভয়পক্ষই সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ঘটনাস্থলেই এক মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে, গুরুতর আহত আরেকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়, এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সিকন্দরপুর গ্রামে। দিরাই থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে গ্রামের পার্শ্ববর্তী নূরুল আমিন ও মাহমুদ আলীর লোকজনের মধ্যে ১৮-১৯ বছরের দুই যুবক মাহমুদ আলীর ভাতিজা সুমন ও রৌশন আলীর পক্ষের জুনায়েদ শনিবার দুপুরের দিকে পার্শ্ববর্তী হোসেনপুর বাজারে গাফলা খেলছিল। হঠাৎ তাদের মধ্যে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে এক পর্যায়ে সকাল ৯টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নিলে উভয়পক্ষই দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ঘটনাস্থলেই গ্রামের নূরুল আমিনের পক্ষের মৃত আছমান আলীর ছেলে আব্দুল মালিক (৬০) মারা যায়, এতে গুরুতর আহত হয় অনেকে।
আহতদের মধ্যে উভয়পক্ষের পক্ষের ২২ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ১৮ জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ও বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন রৌশন আলীর পক্ষের সৈয়দুর রহমান, আয়েশা বেগম, জাকির হোসেন, নূরুল আমিন, সফিক মিয়া, মখলিছুর রহমান, রুহুল আমিন, আয়নুল আমিন, আব্দুল হামিদ, জাহির মিয়া, কামরুল ইসলাম, সোহেল আহমদ, বাচ্চু মিয়া, অলি আহমদ, কালা মিয়া, কুদ্দুস মিয়া, আজিজুর রহমান এবং মাহমুদ আলীর পক্ষের মাহমুদ আলী, ছালিক মিয়া, মোস্তাক আহমদ, ফখরুল ইসলাম, কামরুল মিয়া ও অনিক। গুরুতর আহত ফয়জুল হক, শাখার মিয়া, মকবুল হোসেন ও আয়েশা বেগমসহ এই ৪ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
গুরুতর আহতদের মধ্যে গ্রামের মাহমদ আলীর পক্ষের আলমাছ মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদিন (৪৩) সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মতলিব। এ ব্যাপারে জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুছ সালাম জানান, আমি অসুস্থ, তবে ঘটনাটি শুনেছি, বিস্তারিত কিছু জানিনা।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বায়েছ আলম জানান, ঘটনার পর খবর পেয়েই আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি, কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। এ ব্যাপারে উভয়পক্ষই মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়নাল আবেদীন মারা যাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে দিরাই সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার সুরত আলম বলেছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।