মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০১:১৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: দিরাই উপজেলায় প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী কক্ষ পরিদর্শকদের পারিশ্রমিকের টাকায় ভাগ বসালো উপজেলা শিক্ষা অফিস। গত বছরের ন্যায় এবার ও শিক্ষা অফিসের ভাগ বসানো নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষকরা জানান, কতিপয় শিক্ষক নেতা ও অফিসের লোকজন একটি সিণ্ডিকেট করে গত বছরও শিক্ষকদের টাকায় ভাগ বসিয়ে ছিল, পরে ফেরত দেয়ার কথা ছিল কিন্তু দেয়া হয়নি। ভূক্তভোগি শিক্ষকরা তাদের প্রাপ্য টাকা না পেয়ে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন। তবে শিক্ষা অফিসার জানান, পারিশ্রমিকের টাকায় কোন ভাগ বসানো হয়নি, উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে ১০ ভাগ কেটে দেয়া হয়েছে।
দিরাই উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, দিরাই উপজেলায় এ বছর ১৫টি কেন্দ্রে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট ২০৮ জন শিক্ষক কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন। কেন্দ্র সচিবসহ যাবতীয় খরচে কোন প্রকার ভাগ না নিয়ে শুধুমাত্র কক্ষ পরিদর্শকদের পারিশ্রমিকের টাকায় ১০ ভাগ টাকা কেটে রাখে শিক্ষা অফিস। গতকাল রোববার পরীক্ষার শেষ দিনে হল সুপারগণ কক্ষ পরিদর্শক শিক্ষকদের পারিশ্রমিকের প্রাপ্য টাকা থেকে ১০ ভাগ টাকা কম দিলে তাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করে। বিক্ষোব্ধ শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষা অফিস ও কতিপয় শিক্ষক নেতা নামদারী একটি সিণ্ডিকেট গত বছর ও এভাবে তাদের পারিশ্রমিকের টাকায় ভাগ বসিয়ে ছিলেন, আন্দোলনের পর টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে সময় পার করা হলেও পরে দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসএম আব্দুল হালিম বলেন, কক্ষ পরিদর্শকদের পারিশ্রমিকের টাকায় কোন ভাগ বসানো হয়নি। ১০ ভাগ টাকা কেন কাটা হয়েছে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস বলতে পারবে, গত বছরের বিষয়টি আমি জানিনা। উপজেলা হিসাবরক্ষন অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের অফিস থেকে অগ্রিম বিল দেয়া হয়েছে। রাজস্ব বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী ভ্যাট আইটি কেটে দেয়ার জন্য বলা হয়েছিল। শিক্ষা অফিস কি করেছে আমাদের জানা নেই।