রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সুনামগঞ্জের ৮টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সেতু প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলো হচ্ছে মধ্যনগর-মহেষখলা সড়কের সুমেশ্বরী নদীর উপর ২০০ মিটার সেতু, মধ্যনগরবাজার সংলগ্ন উবদাখালি নদীর উপর ৩০০ মিটার সেতু, জয়শ্রী-গোলকপুর সড়কে জয়শ্রী বাজার সংলগ্ন বুরাইয়া নদীর উপর ৩০০ মিটার সেতু, গোলকপুর-সাচনাবাজার সড়কের বৌলাই নদীর উপর ৩০০ মিটার সেতু, দিরাই-ধল-মার্কুলি সড়কে কাজুয়া নদীর (মরা কুশিয়ারা) উপর ৩০৮ মিটার সেতু, মহেষখলা-টেকেরঘাট-লাউড়েরগড় সড়কে যাদুকাটা নদীর উপর ৭৫০ মিটার সেতু, বাদাঘাট-কাউকান্দি-টেকেরঘাট সড়কের ডাম্পেরবাজার সংলগ্ন পাটলাই নদীর উপর ৪০০ মিটার সেতু, ছাতক উপজেলার মঙ্গলপুর বাজার সংলগ্ন আনুজানি সড়কে চেলা নদীর উপর ৪৫ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্প। এলজিইডি’র দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানান, প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয় এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হবে। এছাড়া একনেক সভায় গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নসহ ৯ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৮৭৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৩২৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৫০ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, নদী ড্রেজিংয়ের পর যে বালু উত্তোলন করা হয়, সেটি দিয়ে ইটের বিকল্প তৈরি করতে হবে অথবা ‘হলো ব্লকস’ তৈরি করতে হবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করা যাবে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও সাশ্রয়ী হবে। পাইলট প্রকল্পের আওতায় শিগগির একাজ শুরু হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। সভায় অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হচ্ছে, চট্রগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৯০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। বাগেরহাট জেলায় ৮৩টি নদী, খাল পুন:খনন এবং মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি (২য় পর্যায়) প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ এবং উপকেন্দ্রসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। তিনটি পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তথ্য ভবন নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন নব সংযুক্ত শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল এবং সারুলিয়া এলাকার সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩৪ কোটি ২ লাখ টাকা। পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন,‘আমার এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ৬ টি সেতু প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা আশা করছি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবহেলিত-বঞ্চিত এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে, উন্নয়ন হবে’।
এলজিইডি’র সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আল্লাহ্ হাফেজ একনেক সভায় সুনামগঞ্জের ৮টি সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।